১। জিহ্বা
আপনি আপনার সব দাঁত দিয়ে
জিহ্বা স্পর্শ করতে পারবেন না
জিহ্বা ধরে আছে মানুষের ক্ষুধা ভেজা পেয়ালা
নির্বাসিত মাসিকের রক্তবালিশের মতো
ঘামের  লোমকূপে
চুম্বনস্নাতক জিহ্বা চুষে চলেছে
পৃথিবীর শরীর বেয়ে অস্তিতের চিহ্ন  
সভ্যতার আশ্চর্য অঙ্কনশিল্পের শেষ লালাটুকু
জিহ্বারা শুষে নেয় কীটের বেশে
-স্বপ্নময় স্বপন©


২। কান
আমার ভীষণ গাত্রদাহ
সমস্ত  কান জুড়ে জ্বর
কান নিয়েছে নিশাচর
পাবে প্রেম কান পেতে রেখে
স্তনের মুঠোর ভেতর
প্রেম নয় কান পাতলে শোনা যায়
কানের নিজস্ব নিবাস থেকে নিদ্রাহীন রাতে
ভীরুর ভীরুতাপুঞ্জ, লোভীর নিষ্ঠুর লোভ,
বঞ্চিতের চিত্তক্ষোভ
-স্বপ্নময় স্বপন©


৩। নাক
নাক টেনেছে চাঁদ
ক্ষুদ্র অতসী ফুলসজ্জায় লজ্জিত নাক
আমি ম্রিয়মাণ
নাক ফুলিয়েও বোঝাতে পারিনি
আমি রেহাই চাচ্ছি
নাক ডুবিয়ে শ্বাস নিলে দেখি
নাক নেই
তবু জলের গন্ধ! মেঘের গন্ধ!
ঘাসের ভিজে ভিজে ঘ্রাণ!
-স্বপ্নময় স্বপন©

৪। চোখ
চোখের নীচে চোখের ভাষা
চোখের নিচে দাগ
চোখের ভাষা অদ্ভুত
চোখের ভেতর অন্য শহর
চোখের আলো চোখে নাই
চোখ পুড়ে সব হয়েছে ছাই
চোখের পাতায় মেঘের রাগ
চোখের চোখে চোখের নজর
ভেজা শাড়ি.... চোখের দোষ?
এ এক আদিম মুদ্রাকোষ..
-স্বপ্নময় স্বপন©


৫।হাত
চমকে উঠি আপন হাত দেখে
হাতের ভেতরে হাত ঢুকাই
হাত ছোঁয়া সুখগুলো যেন
মড়ক-কবলিত পল্লীপুঞ্জ
এক হাত থেকে আরেক হাতে
জন্মমৃত্যুর রহস্য
নাচছে আমার হাতের মঞ্চে
হাতের উষ্ণতায় আমার রক্ত জ্বলে
রোমকূপ ফুঁড়ে শতাব্দীর অন্ধকারের মতো
কেউ কি সাহায্য করবেন?
একটা কেলিপরায়ণ হাত হাতের কানে কানে
ব্যস্ত ছিল তোমার সুখের সনে
শত হাত দূরত্বে থাকা ধূসর প্রতিবিম্ব
যাত্রা করে মুঠোবন্দী স্তনের দিকে
প্রত্যুষের চুম্বনে হাত ভেজায়,
কেউ জানেনা
আমার হাতের মাঝে হাত থাকে না
নষ্ট রাখীর কষ্ট নিয়ে
ক্ষয়িষ্ণু ছায়ার মতো তবু
হাত বেড়ে যায় স্বপ্ন হাওয়ায়
-স্বপ্নময় স্বপন©