জবাই-কুরবানি
-----------------------
অগণিত সংঘাতে পৃথিবী নাজেহাল
পৃথিবীর প্রতিটি ধূলিকণা, প্রস্তরখণ্ড জানে--
কত হত্যা-জুলুম-ধ্বংসের ইতিহাস
এ গ্রহগোরস্তানে!


আজ অবধি থামেনি কোথাও যুদ্ধের হুমকি-আয়োজন,
গোলা-গুলি-ক্ষেপনাস্ত্রের তর্জন-গর্জন।
ঘরে ঘরে, মানুষে মানুষে কত স্বার্থের জখম-হানাহানি,
সব রেখে শুধু বিদ্ধ হলো মুসলমানের হাত,
পশুকুরবানি!


'জীবহত্যা অন্যায়' বলে সর্বপ্রাণীভুক সকল
প্রাণীজ আমিষে কান্ত শরীরে বেজায় তেজোবল।


'নরবলি', 'পশুবলি' করে দেবতার মনতুষ্টি
সেরে এসে তেড়ে ধরে কুরবানির প্রতি মুষ্ঠি।


নানা অপবাদে, অন্যায়ভাবে মানুষ পিটিয়ে মেরে
বলে- এরা সন্ত্রা*সী, পশু জবাই করে।


পশুবধের সার্কাস-খেলায় তিলে তিলে করে পশুহত্যা,
ধারালো অস্ত্রের সহজ পশুমৃত্যুতে খোলে দরদবস্তা।


বাড়িতে-খামারে গবাদিপশু বাণিজ্যমূল্যগোণা
অবহেলা-অনাদরে কম নয়,
উদ্ভিদেরও প্রাণ আছে যে
প্রমাণিত নিশ্চয়!


বিশ্বের প্রতি ঘরে পাকের কক্ষ, হোটেল-রেস্তোরায়
প্রাণীজ আমিষে ঠাসা,
রসনা বিলাসের তৃপ্তির পশরা
পুষ্টি-স্বাদে খাসা।


দরিদ্র-সজন-প্রতিবেশি লয়ে একটু ভালো খাবারের ব্যবস্থা
আল্লাহর সন্তুষ্টির কুরবানি, সেটাই আল্লার রাস্তা।
এটাই যদি অমানবিক হয়, মানবিক কি
প্রাণ নিয়ে হেলাফেলা, স্বেচ্ছাচার?
থাকে যদি সৎসাহস
মুখ খোল নচ্ছার!