আমি কে? কে আমি?
কি আমার পরিচয়?
আমি শৈবালের মত ভেসে চলেছি
একপ্রান্ত থেকে অপর এক প্রান্তে।
ঘাসের ও নিজের একটা মাটি আছে
যেটা সে আঁকড়ে নিজের মনে করে বাঁচে।


তাই যেখানেই গেছি
নিজের মত করে বাঁচতে চেয়েছি।
চোখের জল চোখে শুকিয়ে নিয়েছি
কেউ আপন ভেবে চোখের জল মুছিয়েছে
তার আঁচলেই তখন মুখ লুকিয়েছি।


আবার কেউ মনে করেছে আমি ক্রীতদাস।
অস্তিত্ব বাঁচাতে হয়েছিলাম হুকুমের গোলাম।
তবুও, ব্যঙ্গ বিদ্রুপে কথার চাবুক ঝলসে উঠত
পেটের খিদে স্তব্ধ হত চরম আঘাতের ভয়ে।
আমরা প্রজারা তটস্থ, পাছে মালিকের ঘুমে ব্যঘাত।


দিন চলে গেছে, এসেছে অন্য এক সময়।
আমি এখনো সেই অভিমন্যু।
অসম যুদ্ধ লড়ে চলেছি আজো।
সপ্তরথী কারণে অকারনে এখন রক্তাক্ত করছে
যদিও জানি এরা সবাই আমার বড় আপনজন
আমার শরীরে প্রবাহিত রক্তের,
আমার বংশধারার শাখাপ্রশাখায় মিলে মিশে একাকার।
এদের ছাড়তেও পারিনা রাখতেও পারিনা।
গঙ্গার মতন কলঙ্ক বয়ে নিয়ে চলেছি
জানিনা যাব কোন সুদুরের ঠিকানায়।