(দ্বিতীয় পর্ব - বিগত ২৫/১০/২০১৬ তারিখে প্রকাশের পর)


মহান স্রষ্টা প্রতিনিয়ত কোন না কোন কাজে রত
যা ইচ্ছা সৃষ্টি করেন তিনি
কিছুই সংঘটিত হয়না তাঁর ইচ্ছা ব্যতীত
তিঁনিই সবকিছুর স্রষ্টা
ক্ষমতাবান দায়িত্বশীল তিনি সবকিছুর উপর ।


বান্দার কর্মের মূল নির্মাতা স্রষ্টা
প্রাত্যহিক তাক্বদীরে চলে মানুষের কর্ম
স্রষ্টার অর্পিত দায়িত্বভারে পৃথিবীতে মানুষের আগমন
মানুষেরে তিনি দিলেন বস্তুর জ্ঞান
দিলেন বিবেক-বুদ্ধি, ক্ষুদ্র স্বাধীন ইচ্ছা ও কর্মশক্তি,
আরো পাঠালেন পথপ্রদর্শক ও কিতাব
সরল-বক্র বা ভাল-মন্দ দুটি পথ
সীমিত ইচ্ছাশক্তিতেই মানুষ
বেছে নেয় যে কোন পথ, বিচার দিবসে
একালের কর্মই হবে দায়িত্বভারের হিসাবের ভিত ।


মন্দ ছাড়া ভালোর মর্যাদা নেই
রাত ছাড়া দিন গুরুত্বহীন
স্রষ্টা ভালবাসেন বান্দার ঈমানকে
ঈমানের মর্যাদায় সৃজিলেন কুফর
মুমিন তাঁর কাছে অতি প্রিয়
মুমিনের দৃঢ়তা পরীক্ষায় সৃজিলেন শয়তান
বড্ড বেশী ভালবাসেন তিনি মুমিনের আনুগত্য
আনুগত্যের শ্রেষ্ঠত্ব বিচারে সৃজিলেন পাপ-পাপাচার
স্রষ্টা চান শয়তানের নিয়ত ক্রোধ
তাই সৃজিলেন বান্দা-ইবলিসের সার্বক্ষণিক যুদ্ধ
বান্দার তওবা(প্রত্যাবর্তন) স্রষ্টার অতি প্রিয়
পাপ, ক্ষমা, অনুগ্রহ সৃষ্টি হলো তব
স্রষ্টার প্রিয়তর ইবাদত
তাঁকে ভালবাসা, তাঁর উপর নির্ভরতায় ধৈর্যধারণ
এ ইবাদতের গুরুত্বারোপে সৃজিলেন
প্রবৃত্তি, বিপদ, বালা-মুছিবত ।


বান্দার কর্মে জড়িয়ে আছে
স্রষ্টার জ্ঞান ও ইচ্ছা, তাঁর এ ইচ্ছা
সন্তুষ্টি কিংবা অসন্তুষ্টির সাথে নির্দিষ্ট
সবকিছুর নির্মাতা তিনি
বান্দা স্বেচ্ছায় বাস্তবায়নকারী মাত্র
তিনি মানুষকে তাঁর কর্মে বাধ্য করেন না
তিনি কারো প্রতি বিন্দুমাত্র জুলুম করেন না ।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ১১/১১/২০১৬