কোন এক নির্মম বিষাদের ক্ষণে
অন্তর আরশিতে ভেসে ওঠে নিজের মুখটি
বিষণ্ণ চিত্রকলা খেলা করে প্রতিবিম্বিত মুখে
স্থির দাঁড়িয়ে দুঃসহ শৈশব-ছবি শিমুল রাঙা পটে
জনকের ক্ষত বিক্ষত দেহে
শুধুই লালের ধারা, বড় বেশি ভয় হয়
আবার কখন জানি দর্পণে জেগে ওঠে মুখ ।


একটি কবরস্থান
কতগুলো সারিবাঁধা মাটির ঘর
জীর্ণ সে ঘরগুলোর পাশে একটি নতুন ঘর
সদ্য ঘরটির পাশে দাঁড়ানো
বিপন্ন বিধবার অসহ্য অসহায় চোখ
আরো এক পিতৃহারার নিদারুণ ক্রন্দন
যেন মিশে যাবে
সে ঘরটির শীতল নীরবতায় ।


নতুন ঘরটির পাশে
পাতা মেলে ছোট্ট একটি গাছ
নিত্য জৈব নির্যাসে ধীরে ধীরে বড় হয় গাছটি
বিধবা মায়ের ক্রমাগত যত্নে
একই সাথে বেড়ে ওঠে পিতৃহারা
যখন যৌবন, ক্রমেই ফিকে হয় কষ্টকাল
গাছটিও ভুলতে থাকে প্রথম পাতা মেলার ক্ষণ ।


হঠাৎ উন্মাতাল রুদ্র ঝড় !
বিধবার স্বর নেই, স্তব্ধ নিঃসাড় দেহ
আবার নতুন এক মাটির ঘর
এখন দুঃসহ নির্মম বিষাদের ক্ষণ !!!


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ২৬/১১/২০১৬