আরাকান সভাকবি দৌলত কাজী, আলাওল
বহু তার নাম
বাংলা-কবি খ্যাতি সেথা, শত শত বছর আগে
গড়ে ওঠে ধাম ৷


চৌদ্দশত ত্রিশ সাল, আরাকান ও ব্রহ্ম রাজা
যুদ্ধ হয় ভারী
পরাজিত আরাকান রাজা নারামেইখলা-এর
হয় নাফ পাড়ি ৷


গৌড় সুলতান জালাল আলদ্বীন মুহাম্মদ শাহে
মিলে তার আশ্রয়
শক্ত হাতের সুলতান হৃতরাজ্য পুনরুদ্ধারে
হয় তার সহায় ৷


বহু সেনা সামন্তরা, সেনাপতি ওয়ালী খান
সেথা মহাসমরে
অতঃপর সেনাপতি সিদ্ধিখান, আরো সেনার
যোগ হয় বহরে ৷


অবশেষে ফিরে পায় মহারণে নারামেইখলা
প্রিয় আরাকান
মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ নামে সিংহাসনেই
হলো আরোহণ ৷


নতুন রাজধানী ম্রোহং, লেম্বু নদীর পাড় ঘেঁষা
শুরু নব দিনের
কালে কালে ম্রোহং হয় রোয়াং, রোহাং, সভ্য রোসাঙ্গ
কথা ইতিহাসের ৷


কারা বলে রোহাংবাসী, রোসাঙ্গ বা রোহিঙ্গাদের
নেই কোন দেশ
রোহিঙ্গা মুসলমানেরা আরাকানের আদিবাসী
আরাকানই দেশ ৷


জেগে ওঠো রোহাংবাসী, জাগ্রত রোসাঙ্গ আবার
তাজা রক্তে রাঙা
প্রতিবাদ প্রতিরোধে হাতে জ্বালো অগ্নি মশাল
তোমরা রোহিঙ্গা ৷


বিঃদ্রঃ- ইতিহাসে নারামেইখলা, মোহাম্মদ সোলায়মান শাহ বা মেং সোআ মংউন নামেও পরিচিত ৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০২/১২/২০১৬