(ছোটদের ছড়া)
ভোর হয়েছে, ডাকে পাখি
খোকন সোনা খোল আঁখি,
আঙিনাতে গাছটি বরই
শালিক নাচে, ডাকে চড়ুই ।
গাছের নীচে কুল পড়েছে
শিউলি তলে ফুল ঝরেছে,
গাছের মাথায় পাকা পেঁপে
ফিঙে পাখি উঠলো কেঁপে ।
পুকুর পাড়ে বেতের ঝোপ
লক্ষ্মী প্যাঁচার বেজায় শোক,
মাছরাঙাটি লম্বা ঠোঁটে
রইলো বসে পুকুর ঘাটে ।
কাঠকুড়ালির কটর কটর
হলদেকুটুম চটর পটর,
তালগাছটি যোগায় আশা
বাবুই পাখির নতুন বাসা ।
ময়না পাখির গয়না চাই
বুলবুলিটার বায়না তাই,
ডাহুক ডাকে করুণ সুর
কোকিল কণ্ঠ সুমধুর ।
টুনটুনিটা ডালিম গাছে
গানের তালে দোয়েল নাচে,
টিয়া পাখির সবুজ বরণ
কাকাতুয়ার দারুণ গড়ন ।
কাক পড়েছে টিনের চালে
ঘুঘু বসে আমের ডালে,
বিলের মাঝে সাদা বক
ঝিলের দিকে চিলের চোখ ।
হুতুম প্যাঁচার গোমড়া মুখ
কোয়েল পাখির অনেক দুখ,
জলার তিতির জলের মাঝে
পানকৌড়িটা ব্যস্ত কাজে ।
পায়রা ওড়ে পাখনা মেলে
ময়ূর নাচে পেখম তুলে,
কানাকুয়ো বড্ড ডাকাত
সুইচোরাটা ডাকলো হঠাৎ ।
খঞ্জনা লেজ নাড়ায় শুধু
মৌটুসী খায় ফুলের মধু,
মুনিয়াকে চকিত দেখা
অঙ্গ তারই রঙে আঁকা ।
বউ কথা কও যায় যে ডেকে
চাতক তাকায় কাতর চোখে,
মুরগি ছানা থাকলে ফাঁকায়
ঈগল পাখি ছোঁ মেরে নেয় ।
পাপিয়া সুর নেই তুলনা
বাদুড় ঝোলা আর ঝুলোনা
খোকন সোনা উঠলে এখন
দেখবে তুমি পাখির নাচন ।
ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৮/০৫/২০১৫