জাহিলি তিমিরাচ্ছন্ন ভুবন
তুঁমি যখন এলে
সেকি অভিনব রূপ
অপূর্ব চারিধার, বিমুগ্ধ প্রাণ।


আঁধারের অবগুণ্ঠন খুলি
অংশুময়ী দিবাকরের হাসিমুখ
জগতীতল মাতি
অতিশয় আনন্দ-সুরভি সুখ।


মরু-প্রান্তর জেগে ওঠে
উদ্যান রচিবে সে মহা-উল্লাসে
ফোরাতের বুকে ভাসে
সুর-তরঙ্গ, অতি উল্লাসে।


জোছনার পুলকিত কোমল প্রভা
ঝরে পড়ে বিশ্বময়
সুর ওঠে অমর সঙ্গীতের
পক্ষীকুলে, বৃক্ষচ্ছায়।


দুর্দম-দুরন্ত সমীরণ
মরুময় উদ্দাম নৃত্য তুলি
আকাশ-জমিন দিগন্তে মিশে
ফেলে আনন্দাশ্রু, করে কোলাকুলি।


পাহাড়-মহাকাল করে
মিতালী বিশেষ
দিয়ে যায় মেঘমালা
সালাম অশেষ।


উত্তপ্ত মরুবক্ষে আজ
মানবতার প্রবাহ, সৃষ্টিকুল হাসে
মানুষগুলো মুক্তিপাগল, উদ্বেলিত
উচ্ছলিত প্রচণ্ড আবেশে।


মহামানবের আগমন
মহা-আন্দোলিত, দ্বিধা নেই প্রাণে
এ ধরাতল তব মহাবলে
উদ্দীপ্ত, ঘটনার নব-বাঁক বিনির্মাণে।


ফিরোজ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৯৭