প্রথম দৃশ্যঃ
রাত দ্বি-প্রহর, সারা-দিনের কর্মক্লান্ত শরীর
ঘরের পথে ভ্যানচালক-রমিজ
ব্যতিব্যস্ত ছুটে চলে, কখন ঘরে ফিরবে!
হঠাৎ সামনে এক আগন্তুক
খাকি রঙের পোষাকে
ওহ হ! থানার বড়-দারোগাবাবু ...
কড়া সুরে হাঁক! এই রমিজ এগিয়ে দিয়ে আয়
ক্লান্তির অবসাদ - বাড়ি ফেরার তাড়া
ভীষণ অনিচ্ছা ভর করে রমিজের মনে
তবু এগিয়ে যায় রমিজ
একরাশ ভয় আর নিতান্ত দায়ে পড়ে
এ ভয় শাস্তি পাবার
এ দায় শাস্তি থেকে বেঁচে থাকার।


দ্বিতীয় দৃশ্যঃ
আজ বেশ ভালই রোজগার হলো
ফুরফুরে-খুশি মন
রাত দ্বি-প্রহরের বেশ আগেই
ঘরমুখো হাঁকিয়ে চলে রমিজ
পতিমধ্যে আজও এক আগন্তুক
শুভ্র পোষাক, সাদা শ্মশ্রু, সৌম্য চেহারা
হাসি-হাসি মুখ, তবু ভড়কে যায় রমিজ ...
এ-যে তার অতি প্রিয় দাদাজান
বেভুল মন, খুশিতে কখন ভুলেই গেছে
কথা ছিল আরো আগে বাড়িতে পৌঁছে দেবার
ভীষণ লজ্জা ও ভয়ে কুণ্ঠিত রমিজ
জড়সড় রমিজ সাগ্রহে বলে
চলুন দাদাজান পৌঁছে দিয়ে আসি
রমিজের এ লজ্জা কর্তব্যে অবহেলার
এ ভয় শ্রদ্ধায় মেশানো।


আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব
অনেক বেশী কৃতজ্ঞ
স্রষ্টার প্রতি ভয়-লজ্জা হোক শ্রদ্ধা-মিশ্রিত।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ২২/০৪/২০১৬