নিজেকে বড্ড অর্বাচীন লাগে
অভিজ্ঞতা পেতে
প্রবুদ্ধ বৃক্ষের কাছে গেলাম
বৃক্ষ কোথায় যেন মিলিয়ে গেল৷


অতি চঞ্চলতায় কম্পিত হৃদয়
দৃঢ়তা শিখবো বলে
পাহাড়ের কাছে ছুটে যাই
পাহাড় অনেক কেঁদে কেঁদে
ধ্বসে পড়লো৷


মনটা বড়ই মৌন
সজীব প্রাণে গাইবো বলে
নিসর্গের কাছে আশ্রয় চাইলাম
প্রকৃতি ভীষণ বৈরী হয়ে
কুহেলিকায় সব ঢেকে দিল৷


বিশীর্ণ পঙ্কিলতায় চিত্ত মলিন
বিশুদ্ধ হবো বলে
নির্ঝরিণীর জলে নাইতে গেলাম
নির্ঝরিণী রুষ্ট হলো
সে জল শুকিয়ে গেল৷


এসেছে আনন্দ-বান
মন ভরে হাসবো বলে
প্রভাতের সূর্য দেখি
প্রকৃতি বিবর্ণ হলো
কালো মেঘের মাঝে
সূর্য হঠাৎ পালিয়ে গেল৷


অনেক কষ্ট পেয়ে
প্রাণ খুলে কাঁদবো বলে
ঝর্ণার কাছে কান্না খুঁজি
ঝর্ণা তখন মুখ ফিরিয়ে
লাজ নয়নে লুকিয়ে পড়ে৷


হাল আমলে
নিজেই ভারি বেমানান
অধুনাতন হবো বলে বিদ্যানিধির
পানে ধাই, বিষম লেগে বিদ্যানিধি
সকল বিদ্যা ভুলে গেল৷


মাঝে মাঝে নিজেকে
বড়ই অধীন লাগে
স্বাধীনতার সুখ পেতে
ডানা মেলে
নীল আকাশে উড়তে গেলাম
কাল বৈশাখীর ঝড় এসে
আকাশ ভীষণ ক্ষুব্ধ হলো৷


মনটা যখন হীনপ্রাণ
বিশাল উদারতায় ডুব দিতে
সাগরের কাছে ছুটে এলাম
সাগর যেন রক্তচক্ষু
ঝঞ্ঝাক্ষুব্ধ ঊর্মিমালা ভয় দেখাল৷


হৃদয় অধিক শুষ্ক
অনেক রসে রসিক হতে
জ্যোৎস্না জলে ভিজতে আসি
অভিমানে চাঁদ তখনি মুখ লুকায়
কালো রাতের আঁধার তরে
দিক হারাই৷


ইদানীং নিজেকে
বড় ছন্দহীন অপাঙ্‌ক্তেয় লাগে
বিষণ্ণতা তাড়াতে
সমুদ্রপাড়ে কল্লোলিত ঢেউ খুঁজি
কিন্তু হায়!
সমুদ্রও ঢেউ হারালো৷


বিক্ষিপ্ত ভাবনায়
বর্ণগুলো ভাষা পায়না
অনেক ছোটাছুটি লাফালাফি
অতঃপর কবিবরের সান্নিধ্য খুঁজি
হায় হতভাগা!
কবির মন ভাল নেই
সেও কখন হারিয়ে ফেলেছে ভাষা৷


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ০৯/০৩/২০১৬