আলপ্স কিংবা হিমালয় পৃথ্বীবুক হতে অন্তরীক্ষে
শির উঁচু করি জানান দেয় আপন-অস্তিত্বের
মহাসাগরের বিক্ষুব্ধ ঊর্মিছন্দা-কল্লোল
নাবিকের মন করে জয়
বাতাসের তীব্রতায় আসে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়
সাইক্লোন, হারিকেন, কোমেন কিংবা মহাসেন
ভয়ঙ্কর স্মৃতিপট বিস্মৃত হওয়া যায় না
আবার চৈত্রের মৃদুমন্দ হাওয়া
পরিশ্রান্তের নেত্রপল্লবে জড়িয়ে দেয় প্রশান্তি-ঘুম
রাতের পরিষ্কার আকাশের উজ্জ্বল নক্ষত্রপুঞ্জে
পৃথিবীর দৃষ্টিগুলো বিস্মিত-চমকিত
ভরা পূর্ণিমা চাঁদের জ্যোৎস্না-বন্যায়
ভেসে যায় ধরণী, স্নিগ্ধ আলো-আঁধারিয়ায়
ধরিত্রী কল্পনাপ্লুত, নিজস্ব তেজে দীপ্যমান সূর্যে
ধরাধাম আলোকিত, পরিপূর্ণ দিবস
তরুবরের আপন ছায়া-শীতল পরশে
পথিকের ক্লান্তি দূর।


স্বীয় হিম্মতে ওরা উদ্ভাসিত
গুণে-ভরা মহিমার জয়গাথা সুপ্রশস্ত।


আমি ক্ষুদ্র, অতি-নগণ্য কাষ্ঠিকা
বিশুষ্ক বদনে আবর্জনার স্তুপে মেলে ঠাঁই
কখনোবা পুড়ে-পুড়ে অঙ্গার
সামর্থ্যের সবটুকু ঢেলে সৃজিত উত্তাপ
অপরে বিলিয়ে পাই সুখ
নগণ্য ক্ষুদ্রাদপি প্রয়াস কভু হয়না ইতিহাস
গল্প কিংবা কবিতায় মেলেনা কোন ঠাঁই।


ফিরোজ, সিদ্ধেশ্বরী, ১৮/০৯/২০১৫