নিঝুম সন্ধ্যা নামে বাইরে আর ভিতরে
কী আসে যায় তাতে ? এটুকু আঁধারে ?
কালের নিস্তব্ধতা লাগে ঘুমহীন চোখে,
চেয়ে দেখি- শব্দের গভীরে জাগে আরও গভীরতা
প্রেম-স্বপ্ন-বিশ্বাস যেন পুঞ্জিভূত পাপড়ির মত ভালবাসা ফুলে ফোটে-
যুক্তির ব্যবচ্ছেদে ছিন্ন হয় মানুষের ঝড়ে- মৃতের আর্তস্বরে;
ঘনীভূত জলের মত তবু একখণ্ড জমাট বোধ জাগে জীবন-সাগরে
ক্ষণিকের স্রোতে ভেসে কিংবা ভাসিয়ে লাভ নেই কোন- কেন তবে ?
পথ কভু কী একীভূত হয় পথের সমান্তরালে - পথে ?
অসুখের ভিড়ে ভিন্ন অসুখে কী পূর্ণতা আসে ?
কাছে-দূরে যদি কোন তারা খসে- কী আসে যায় অন্য আকাশে ?
সুখ-সভ্যতা সবকিছু দেখি সমাহিত হয়- নিবিড় নিস্তব্ধ অন্ধকারে;
চারিদিকে তবু উদ্যম-ছুটোছুটি আনন্দ উৎসব
কোথাও কোন ভেদাভেদ নেই মুখ কিংবা মুখোশে;
সমিল মুখের হাসির আড়ালে দেখি দুঃখও হাসে
জন্ম জীবনভরই মৃত্যুর সহোদর-
তবু মানুষের উৎসব চলে মানুষী স্বভাবে
কী আসে যায় তাতে- যদি কেউ না-ই ফিরে ? কিংবা ফিরে ?
জেগে থাকি মৃত্যুর ঘুমে- কখনো বা ঘোরের আবেশে
অনন্তের শুন্যতা খুড়ে চেয়ে দেখি দূরে-
সৃষ্টির যাত্রা কেবল অবিনাশী বিনাশে;
আকাশে-বাতাসে সুদূর থেকে আরও সুদুরে- সর্বত্র – মহাকালে
কেবলই শুন্যতা,  শুন্যতা চারিদিকে ।


মাহবুব শাকী
পল্লবী, ঢাকা