""কিশোরী ""


লজ্জা, এ ভূষণ কোন কিশোরীর
ধূলিমাখা ছেড়ে উঠা কোন তন্বী বালিকার ;
চঞ্চলতা তার নিত্য সঙ্গী প্রকৃতির সাথে,
হাওয়ায় উড়ে সে ঘাসফড়িঙের অস্থিরতার ঢঙে।
উচ্ছ্বসিত হয় রিমঝিম বৃষ্টির বর্ষণে,
ভিজে শুদ্ধ নিজে প্রকৃতির সবুজ আবরণে ;
বন্ধুত্ব তার মায়াময় পৃথিবীর প্রতিটি বাঁকে,
খুঁজে ফিরে বন্ধুত্ব,
আকঁড়ে ধরে পরম বিশ্বস্ততার বন্ধনে।
আড্ডায় হতে চায় মধ্যমণি
সেই সাথে থাকে তার দুষ্টু চাহনি।
তৃপ্ত হয় শুনে তার প্রসংশা গোচরে অগোচরে,
নিজেকে বিলায় পরের তরে অকুন্ঠ অকাতরে ;
ক্ষুধার্ত পেতে স্বর্গীয় আদর ভালবাসা,
তৃষিত নয়নে খোঁজে অনাগত প্রেমিক সখা।
স্বপ্নীল আবরণে তার সাদামাটা জীবন,
বীজ বুনে কোন যুবকের জন্য তারার আকাশের পানে;
গোপনে অস্রু বিসর্জন মান অভিমানে,
নির্জনে একাকী হাসি অকারণ সর্বাঙ্গে;
কৌতুহল সর্ব বিষয়ে যা থাকে চক্ষু অন্তরালে,
মানব মানবীর অব্যক্ত ভূবন তাকে কাছে টানে।
ঘোরলাগা দৃষ্টিতে পরখ করে ধোঁয়াশার চারপাশ,
অস্থিরতায় থাকে গোপণ বাসনার বিলাপ।


সে বালিকা যে সদ্য যৌবনা
গড়তে নারী নিজেকে থাকে শত উদ্মাদনা।
ভালবাসা চায় সে সকলের কাছে,
দিতে হবে তাকে নিজের করে বাঁচতে ;
সহানুভূতি নয় তাদের জন্য
দিতে হবে তাদের যতটুকু প্রাপ্য।
আজকে যে বালিকা হবে একদিন নারী,
যে কিশোরী আজ হবে সে মমতাময়ী ;
কিশোরী বালিকা হবে একদিন মা
গড়বে ভূবন দিয়ে মমতা।