বোতলের মুখে ঢিক কত দিবে আর,
পার পাবি কি বলে- ‘শত ভাগ ভাগ’।
আজি স্বাদের টানে রসের পেয়ালায়,
পিঁপীলিকা পার্টি জমে ক্ষুধা- মিটে যাক।
সুরক্ষার আশে- বৃথা বক্র চোখে তাড়ি,
অহেতুক বিড়বিড়িয়ে যাওয়া।
শীতের কাপনে আপন চাদরে,
অসহ্য দেহরে মিছে সাত্ত্বনা দেওয়া।


মনে জানে পাপ আর মায়ে জানে বাপ,
কেমন সন্তান জন্মে কার মায়-
খায় না কেন খাপ।
দাপের ঠেলায় ঘিয়ের কেন?
ছটফটানি দাপ।
আদরের ধন যে হারে, সে তো জানে হারানোর কি জ্বালা।
যে চুল্লিতে দাহিত যে, সে-তো জানে দহনের কী কেমন ঠেলা।
তিক্ততা আর ক্ষোপের জালে, টকবগিয়ে উঠে।
মনের তালার চাবি লুকিয়ে, অদৃশ্যে কেসে ছুটে।
পায়খানা গভীরে ডুবে যে, গন্ধ কি বুঝেনি।  
এক পেয়ালা প্রস্রাবে তার পিপাসা মেটে কি-তাও বুঝতে শিখেনি। আমি বুঝি খাপছাড়া সমাজের হালছাড়া মাঝি,
তবু সদা যপি তারে, তাই হতে রাজি।
যেখানে বারী হাত পুড়ে হয় সাই,
অভাগার বিবেক তাড়ে কহে- নাই আর নাই।
যেদিকে দু’চোখ যায় খাঁ খাঁ মরুচর,
ফলশুন্য বিবেক আমি আবসহীন যাযাবর।
অভাগা যেখানে যায়, সাগরও শুকায়
জলশুন্য তরী কভূ, কেমনে গড়ায়।
সাঁতার না শিখে জলে, হাবুডুবু খাই
হাটতে পারি না বলে, হেলাবাসে ঠাঁই।
সহায়-সম্বলহীন বলে- আমি ভিখারী,
আত্মাহারা দেহ আমার, করে বাড়াবাড়ি।
মানহীন বুদ্ধি কেবা কিনে, পাগলের হাটে।
বানে ভেসে ছুটে বিবেক, ঘাটে আর অঘাটে।
যে দেহে শাসন কভূ, শোষনের বালুচর,
সে সন্তান কবে মাতৃঝরা, সংসারে পেতে বসে সতীনের ঘর।


এমনে জীবন চলে, কাটে শুধু বেলা
কী করি কোথায় যায়, হায়রে! অবেলা।