আশাহীন পাখি দু’কূল ঝরেই চলে
ডানাভেঙ্গে ঝাপটা নাড়ে; উড়তে পাওয়ার আঁশে।
কিন্তু হায়! পথহারা পথিক ছুটেই চলে,
শেষ বিকালে কিচিমিচি ডাকার আগে,
আপন গন্তব্যে ফেরার তরে ।
তবুও সে; নামি-দামি সভ্য সমাজে-
অন্য গ্রহের অচেনা কেউ
খামছাড়া বলেই, বেমানান।


যাকে আঁকড়ে ধরে বাঁচার দৃঢ় আকুতি,
তারও এড়িয়ে চলা হালছাড়া
মাঝির ভাসানো ভেলার,  
পথভোলা অচেনা আচরণ ।
তবুও ভাবনার ঊনুনে-
অহেতুক চিন্তার বণর্মালা
ভরিয়ে চলা একগাদা- ‘বিষন্ন মেঘমালার অযাচিত কল্পনা’ ।
যার জন্য কেঁদে চলা,
সে-ই বুঝি অজানা পথের অচীন পাখি।


কেন জানি? মাটির দেহ মাটিকে আঁকড়ে ধরে,
প্রাণহীন মূর্তিবেশে কোন পূজারীর বর না পেয়ে
অবিশ্বাসীর নক্ষত্রে নিভু নিভু হয়ে জ্বলতে থাকে।  
কেননা, যাকে কেন্দ্র করে জমেনি-মন্ডবশালায়;
বামনের ঘন্টির বাজনা।
যার যা আখের গুঁটে চলে দিবা-নিশি- ‘যারে শুধু ঘন্টাই নাড়ে’ ।


আপন বলতে শুধু সে-ই
কুয়াশায় ঢাকা শীর্তাত একলা পথিক
যেখানে পা বাড়ায়, সেটাই তার পৃথিবী বলে মনে হয়
সে যেন- বিষাক্তের ছোবলে দগ্ধ, বিষন্ন পথিক..।