প্রতিদিন আসি আমি ছায়াঘেরা বৃক্ষের মাঝে।
  কখনোবা তুষার ঢাকা পর্বত কিংবা নীল সাগরের বুক চিড়ে।
  
  ঘুরে বেড়ায়  শঙ্খচিলের পিঠে করে
  স্বপ্ন হয়ে পরীর দেশে।


   শুধু খোঁজে পেতে তাকে
   যে আছে হ্নদয়ে রাজকন্যার বেশে।

   কিন্তু সে যে আমার চেনা নয়।
   তাকে কখনো যে দেখিনি আমি।
   শুনেনি তার গান।
   পায় নি তার ভেজা চুলের ঘ্রাণ।
  
   তারপরও তাকে আমি খুঁজছি  স্রোতস্বনী নদীর ঘাটে
   কিংবা কনকনে শীতের ঘন কুয়াশার মাঝে।
   হয়তো বা কোনো লোকালয়ে।


কিংবা নিঝুম নিরালয়ে।
  
    আমি জানিনা তাকে কোথায় পাবো খুঁজে।
কিন্তু  জানি সে একদিন আমার  পাশে এসে দাঁড়াবে,


  গোধূলির আলো মাখা সাঁঝে।
  আর আমার দিকে বাড়িয়ে দিবে তার মেহেদি রাঙ্গা হাত।
  আমি সেই হাত ধরবো,
ছাড়বো না কখনো।
  হাতে হাত রেখে  জীবনটাকে রাঙ্গাবো রঙ্গীনের সাঁজে।
   কারণ সে যে আমার হ্নদয়ের রাজকন্যা
  যাকে খুজিঁ আমি এখনো।