শেষ বিকেলের ঝি ঝি পোকা এবং প্রেমআকাংখা।
                             _______নিভৃতচারী


বসন্তের লালিমাময় রক্তিম গোধুলীতে
অচেনা কারো পদশব্দে সম্বিৎ ফিরে পায় অদ্ভুত এক একাকী যুবক।
অদ্ভুত আলোর পাহাড়ের পাদ দেশেকলসি কাঁখে তপ্তকাঞ্ছনবর্ণা সুন্দর যুবতী,
বৃক্ষের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা যুবককে দেখে একটু বোধ হয় থমকে দাঁড়ায়।
নাকি এই সবই যুবকের কল্পনা ?
চারপাশে হাজারো ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ থেমে গেল যেন এক মুহুর্থের জন্য।
ক্রস্ত লাজুক পদে একটু একটু করে এগিয়ে আসে যুবতী, যুবক ঠায় দাড়িয়ে।
যেন অনন্ত কাল ধরেই দৃশ্যটা চক্রমান।
মখমলের দুর্বাঘাসে পদ চিহ্ন ফেলে এগিয়ে যায় যুবতী,
তৃষ্ণার্থ যুবকের মনের ব্যালকনিছুয়ে ।
যুবকের তৃষ্ণার দৃষ্টি কলসি বেয়ে নামে যুবতীর ঢেউ তোলা শরীরে,
অদ্ভুত বিষণ্ণ সে দৃষ্টি, চেপে থাকা কষ্ট, কল্পিত আনন্দ মুখোশ খুলবে সু-গভীর নিশে।


নিকোটিনের কাঠিতে কাঁপা হাতে আগুন জ্বালায় অদ্ভুত যুবক।
যুবতীর ফেলে আসা পদ চিহ্নে পা ফেলে ফেলে এগিয়ে যায় পাহাড়ি ঝর্ণায়।
বাতাসে ভাসাজল-কনার শিশিরের শ্বাস নেয় প্রান ভরে,
তারপর এক আঁজলা সচ্ছ জল ।


স্নিগ্ধ বিকেলের লাল আলোয় ঝিঁঝিঁ দের মিছিলে,
যুবকের মনে প্রেম জাগে, অনন্ত এক অসীম প্রেম।


দৃশ্যটা এখানেই শেষ হলে পারত।
পাঠকের জ্ঞ্যাতার্থে জানানো যাইতেছে যে,
দৃশ্যটা চক্রাকারে হাজার বছর ধরে চলতে থাকল।
আকাশময় নীলাকাশে।