প্রেম।


শরতের গনগনে রদ্রোজ্জল আকাশ।
কাঠ ফাঁটা রোদে হাতে একটা কৌণ আইসক্রিম নিয়ে ভার্সিটির ক্যান্টিন থেকে বেরুচ্ছিলাম, ক্লাসে বসে বসে বোরিং লাগছিল,
কি আর করা ।
গেটের কাছেই একটা রিক্সা থেকে অদ্ভুত একটা মেয়ে নামছে, একটা সুন্দর রঙ্গিন ছাতা হাতে, আমার দিকে তাকিয়ে আছে,
তাকিয়েই আছে, আমার ভেতরে কি যেন হয়ে গেল, আমিও তাকিয়েই আছি, ওর অদ্ভুত কালো চোখের দিকে তাকিয়ে আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তার আত্মাটাকে। আমার মনে হল সব কোলাহল থেমে গেছে, কোন গাড়ি চলছে না, সময় থমকে গেছে আমার জন্য, উধাও হয়ে গেছে সেইন্ট সোফিয়ার ক্যাথোড্রাল, কর্পূরের মত উড়ে গেছে আশপাশের শত শত লোকজনের চিহ্ন, এখন কেঊ আর কোন উৎফুল্ল চিৎকার করছে না,
কোন রিক্সার টুং টাং শব্দ হচ্ছে না। সেও থেমে আছে মুর্তির মত,
আমি আরো একটু তার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেন আর কিছু নেই।


যেন মুর্তি।


আমি তাকে পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি, কোন এক অদৃশ্য শক্তি অমোঘ আকর্ষনে আমাকে টানছে ওই মেয়ের দিকে, কিন্তু আমি জানি আমি থেমে গেলে হবে না। এক সাথে অনেক মানুষ ফিসফিস করে শ্লেষ্মা জড়ানো কন্ঠে যেন আমার নাম ধরে ডাকছে, যেন আমি আমি ডুবে যাছি, গভীর জলের নীচ থেকে শুনতে পাচ্ছি, কিছু শব্দ, অদ্ভুত ভাষায় কিছু কথা, ভাষাটা চিনতে পারছি না। বোধ হয় সেও আমার মতই, ঘাড় ঘুরিয়ে থাকিয়ে আছে, গেটের রাস্তায় তার ছায়া পরেছে, কি সুন্দর সে ছায়া।


আহ ! কি সুন্দর সেই মুখ খানি।