সভ্যতার সংকটের নেই দাঁড়ি কমা,
নেই কোনো মানবতাবোধ, নেই কোনো ক্ষমা।
সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য যেনো সোনার হরিণ ছুটছি পিছুপিছু
কিছু পাওয়ার অদম্য নেশায় হারাচ্ছি অনেককিছু।


একান্নবর্তী সুখভর্তি পরিবার ভেঙে খান খান,
শিখাচ্ছে নব্য সভ্যতা, নিজে বাঁচলে বাপের নাম।
যৌথ পরিবার ভেঙে গড়ছি প্রতিনিয়ত একক পরিবার
পরিবারের সুখের স্বাদ তাই পাচ্ছি নাকো আর।
ফ্ল্যাট নামের আধুনিক কবুতরের খোপে করছি বসবাস
পাশের ফ্ল্যাটেরও কেউ কারো খোঁজ রাখে না বারোমাস
বাবা-মা নামের বটবৃক্ষের ডাল-পালা-শিকড় কেটে
বানাচ্ছি যেনো আধুনিক বনসাই অনেক ছেটেছুটে।
ছেলে-বউমা অফিস করে নাতি-নাতনি যায় স্কুলে
বুড়াবুড়ি পালক ছাটা পাখি উড়তে গেছে ভুলে।


পরিপাটি ফুলদানিতে বড়ো কষ্টে বসবাস
চারিদিকে কত এসি-ফ্যানের বাতাস তবুও হাঁসফাঁস।
বাচ্চাদের জগত ঘরের কোণে কম্পিউটার গেম
অল্প বয়সেই চোখে শোভা পায় মোটা চশমার ফ্রেম।
নেই খেলার মাঠ, খেলার সাথি, পায়ের তলায় মাটি-ঘাস
এভাবেই চলছে বাঁচা জীবনের বারোমাস।


সভ্যতার অসুস্থ প্রতিযোগিতার ভূত ধরেছে বাবা-মার
সন্তানের কাঁধে চাপিয়ে দিয়েছে বই-পুস্তকের ভার।
শৈশব প্রতিদিন হচ্ছে চুরি জীবনের বাঁকে বাঁকে
জীবনের এহেন পরিস্থিতিতে দোষ দেবেন কাকে?
সভ্যতার সুযোগ্য হিসেবে নিজেকে গড়তে একজন
ছুটছে মানুষ, আলোর পিছু পতঙ্গ ছোটে যেমন।