এ কেমন পৃথিবী দেখছি!
চারদিকে যা কিছু দেখছি সবই যেন অচেনা অচেনা লাগে।
এমন পৃথিবী দেখব ভাবিনি কোনোদিন।
যেদিকে তাকায় সেদিকে শুধু ভয় আর ভয়।
মানুষের চোখেমুখে মৃত্যু ভীতি, এ যেন এক অন্য পৃথিবী।
প্রিয়ার চিরচেনা ঠোঁট দুটো যেন আজ মৃত্যু উপত্যকা।
যে প্রিয়ার বুকে বুক জড়িয়ে জুড়াবো বুকের জ্বালা;
সে প্রিয়ার সান্নিধ্যে যেতে লাগছে ভয়-
না-জানি কখন হানা দেয় যমদূত করোনা।
পিতা-সন্তানের অকৃত্রিম অদরের মাঝেও ঢুকে যাচ্ছে অজানা ভয়-সংশয়।
এ এক করুণ অনুভূতি।
মানুষে মানুষেও বাড়ছে দূরত্ব; সামাজিক দূরত্বই শুধু নয়;
এ দূরত্ব শারিরীক দূরত্বও বটে। মাঝে আশ্রয় নিয়েছে ভয়;
অজানা মৃত্যু ভয়।
যে মানুষের মাঝে বাস করে ঈশ্বর ; সেই মানুষ দেখলেও ভয়;
কে কার যেনো মৃত্যুর কারণ হয়, সেই ভয়।
প্রকৃতি ভীতি ছড়িয়ে মানুষকে করেছে গৃহে বন্দি।
আজ যৌন ক্ষুধা গৌণ; তীব্র হয়েছে পেটের খিদে।
আর, প্রকৃতি যেন দূর থেকে নিচ্ছে মজা;
আমাদের বন্ধি দশার মজা, আমাদের অসহায়ত্বের মজা।


হে পৃথিবী তুমি সদয় হও!
এভাবে আর কতদিন বলো!
মানুষ ছাড়া পৃথিবী ; আর পৃথিবী ছাড়া মানুষ কি কল্পনা করা যায়? যায় না।
আমি পারছি না সহ্য করতে আর, ভাঙো তোমার নিরবতা।
দূর করে দাও- প্রিয়ার ঠোঁটের মৃত্য ভয়,
দূর করে দাও- সকল অকল্যাণ ও সংশয়।


হে পৃথিবী তুমি সদয় হও!
তোমার হৃদয়ের বন্ধ দরজা খোলো।
মানুষ আর প্রকৃতি, প্রকৃতি আর মানুষ; মিলেমিশে হোক একাকার।
পৃথিবী আবার প্রাণবন্ত হয়ে উঠুক,
আর মানুষ ফিরে পাক হারানো আনন্দ, হারানো আশা।