করোনায় ছুঁয়ে দিলে দেহ
পাশে থাকবে না আর কেহ।
লাশ হয়ে যাবে বেওয়ারিশ লাশের মতো
হাত দিয়ে ছোঁবে না আত্মীয়-স্বজন যত।
যাদের সাথে ছিল তোমার আত্মার বন্ধন
দূর থেকে তারাও শুধু করবে ক্রন্দন।
দেবে না গোসল নিম পাতা আর গরম জলে
প্লাস্টিকের কাভারে মুড়ে লাশ কবরে দেবে ফেলে।
পাবে না খাটিয়া ধরতে কোনো লোক
মৃত ব্যাক্তি যতই দামী লোক হোক।


হবে না জানাজা, পরাবে না তিন টুকরো কাফন
জনতার বন্ধু পুলিশ প্রশাসনই করবে দাফন।
প্রশাসনের লোক দাঁড়িয়ে থেকে করবে সৎকার
আমরাই তাদের দিয়েছি গালি, করেছি চিৎকার!
ছোট্ট একটা জীবাণু এসে আজরাইলের বেশে
হাজার হাজার তাজা প্রাণ নিয়ে যাচ্ছে হেসে।
কিছুই যেনো করার নেই চেয়ে চেয়ে দেখি
বিশ্ব জ্ঞান-বিজ্ঞানের হলো আজ একি!
বিজ্ঞান যেনো জোড় হাতে দাঁড়িয়ে আছে ঠাঁই
শত চেষ্টা করেও কোনো পাচ্ছে না উপায়।


সামান্য সর্দিকাশিতে যারা দিত বিলেত পাড়ি
করোনাকালে ধুঁকে ধুঁকে মরছে তারা বাড়ি।
ধনীর টাকা আজ বলবে না কোনো কথা,
গরিবের মাথা-ই নেই তো কীসের মাথা ব্যথা!
স্রষ্টা তোমার লীলা খেলা বুঝা বড়ো দায়
আশরাফুল মাখলুকাত আজ বড়ো অসহায়।
‘টাকায় কী না হয়’— এই চিরন্তন বাণী
করোনার কাছে হয়ে গেল মিথ্যে আর ফানি।


আল্লাহ তোমার মহিমা বুঝা বড়ো দায়
কতকিছুই দেখালে তুমি এই করোনায়।
প্রভু, তোমার করুণা ছাড়া এই করোনা
পৃথিবী ছেড়ে জানি কভু যাবে না।
করুণা করো ওগো বিশ্বজগতের পতি,
তুমি ছাড়া অধম বান্দার নেই কোনো গতি।