একবার এসে দেখে যেয়ো আমাদের গাঁও
যান্ত্রিক সভ্যতার ব্যস্ততা ছেড়ে যদি সময় পাও।
গ্রামের পাশেই রয়েছে মোদের ছোট্ট সুন্দর নদী
সারাদিনমান আপন মনে বয়ে চলে নিরবধি।
সহজ-সরল গ্রামীণ মানুষের সবচেয়ে বড়ো গুণ
সবাইকে ভাবে আত্মার আত্মীয়, নিকট কুটুম।


নদীর পাড়ে সকাল-সন্ধ্যা নদীর ঠান্ডা হাওয়া
ওই শহরে এত প্রশান্তি যাবে নাকো পাওয়া।
দূর্বা ঘাসে সকালের শিশিরবিন্দু হিরের মতো জ্বলে
কী যে মনোহর, কী যে শোভা দেখেছ কোনো কালে!
কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে গায়ে কিষাণেরা মাঠে চলে
টাটকা সবজি, হরেক ফসল তাদের হাতে ফলে।


রাতের বেলা বিছিয়ে মাদুর উঠোনের মাঝখানে,
চেয়ে থাকি অপলকদৃষ্টিতে দূর আকাশের পানে।
জোছনা রাতে তারার ভীড়ে দেখি গোল চাঁদা,
রূপকথার গল্প শোনায়, মোদের বৃদ্ধ দাদা।


জোছনা রাতে বাঁশবাগানের জোনাকিপোকার আলো
শহরের দামি আলোকসজ্জার চেয়ে বহুগুণে ভালো।
শীতের সকালে রোদের বিপরীতে কড়কড়া ভাত খাওয়া
শহরের চাইনিজেও এত সুখ যায় নাকো পাওয়া।
শীতের পিঠা লাগে মিঠা সবাই মিলে খাই
হারিয়ে যাচ্ছে কালের গর্ভে অনেক ঐতিহ্য, ভাই।


যুগের সাথে তাল মিলাতে প্রতিনিয়ত হচ্ছি শহরমুখী
গ্রামমায়ের আঁচল ছেড়ে হতে পেরেছি কি সুখী?
গ্রাম আমার মায়ের সমান খুব ভালোবাসি,
মায়ের দুঃখে কাঁদি, আর মায়ের সুখে হাসি।