তুমি, সে যে এক অনন্ত ভাবনা,
তোমার পরশে জুড়িয়ে যায় হৃদয়ের সমস্ত গহীন।
বাঁশির প্রতিটি সুরে, শুধু যে তোমারই প্রেম বাজে।


তোমায় না দেখলে যে পুরো পৃথিবীটা সাদাকালো
অন্ধকারে ছেয়ে যায়। যখন তোমার স্বরণে আমার
এই মন-প্রাণ সমর্পণ করি, রঙিন হয়ে ওঠে
আমাদের পটভূমি।


তোমার ওই কাজল মাখা
অপরূপ চোখে তাঁকিয়ে,
পার করে দিতে পারি আমার গোটা জীবনচক্র।

তোমার হাঁসিতে যেন সূর্যের কিরণ লাগে
শ্যামল-শস্যে ভরা মাঠে, যেন
সমস্ত প্রকৃতি নতুন করে আবার প্রাণ ফিরে পায়।


তোমার আঁচল সে তো দূরে থাকা,
নীল আকাশের কোমল ছায়া।
তোমার এঁকেবেঁকে হেঁটে যাওয়া,
হৃদয়ে অদ্ভুত শিহরণ জাগায়, যেন
কাল-বৈশাখের ঝড় উঠেছে আমার বুকের মধ্যে।


সমস্ত প্রকৃতির যেন তোমার রূপ দেখে হিংসা হয়,
তারা ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে,
তোমার এক জলক পাওয়ার জন্য,
তোমার পরশে মুগ্ধ হয় এই প্রকৃতি।


তুমি এলে যেন সুখের বন্যা বয়ে যায়,
ঠিক যেমন বর্ষায় ভেসে যায় নৌকা।
মরুর বুকে প্রাণ ফিরে পায় নদী,
মিলিত হয় যেয়ে সাগরে।


তোমার চুলের ঘ্রাণ এতই সু-মধুর,
ঠিক যেমন বসন্তে ভালোবেসে রংবেরঙের ফুল
ফোটে। নিজেদের সুভাষ বিলিয়ে দেওয়ার জন্য।


তুমি পাশে বসলে মনে হয়
যেন সমস্ত প্রকৃতির রাজা আমি,
আমার হৃদয় খুশিতে ভরে ওঠে,
যেন শত-কোটি বছরের তৃষ্ণা হৃদয়ে জমেছিল,
শুধু-মাএ তোমায় একবার দেখার তৃষ্ণা।