এই সমাজে মাঝামাঝি থাকা ভীষণ জ্বালা।
নিচে নেমে গেলে কেউ খোঁজ রাখে না
আবার ওপরে উঠলে লোকে বেশি করে খোঁজ নিতে শুরু করে।
খোঁজ নেওয়ায় বা না নেওয়ায় কোনো দোষ নেই-
খোঁজ নিখোঁজের খাতায়।
দোষ নেই কথা না শোনায় বা অতি কথা শোনায়-
কথার গুরুত্ব হাওয়ায়।


মাঝামাঝি থাকলে কোথাও ঠাঁই নেই-
যত জ্বালা এই মাঝখানেই।
বড় হলে লোকে সামনে দাঁড়িয়ে হাত পেতে দেয়,
পিছন থেকে লাথি মারলেও।
ছোট হলে নিজেই হাত পাতা যায়-
সামনের লাথি হাতের তলে আটকা পড়ে।
মাঝামাঝি সব হাত কাটা জগন্নাথ-
হাত থাকলেও।
ওপরের পা কেজো পাশ থেকে!


যে বড়
তাকেই সকলে ডাকে।
যে তলিয়ে গেছে
তাকে কেউ ডাকে না।
যে মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে
তাকে একবার লোকে ডাকে
পরের বারে আর ডাকে না।
আবার প্রথম বারে না ডাকলে
পরের বারে ডাকে।
তাহলে সে দাঁড়াবে কোথায়?