শৈশব মনে পড়ে।


খেয়ে দেয়ে ঠোঁট মুছতাম মায়ের আঁচলে।
দুঃখ পেলে চোখের জল মুছতাম মায়ের আঁচলে।
শীতের রুক্ষতার মতো রেগে গেলে,
গরমের রোদের মতো লজ্জা পেলে
অথবা অনাবিল অভিমানে সিক্ত হলে
মুখ লুকতাম মায়েরই আঁচলে...


সূর্য ডুবলে বাবা শক্ত করে হাত ধরে রাখতেন-
যাতে অন্ধকারে আমি হারিয়ে না যাই।
ঝড় উঠলে বাবা শক্ত করে হাত ধরে রাখতেন-
যাতে আমি হাওয়ার সাথে উড়ে না যাই।
প্রবল বন্যায় বাবা শক্ত করে হাত ধরে রাখতেন-
যাতে মেঘের সাথে আমি ভেসে না যাই।


ইস্কুলে যেতাম...
পাঠের মন্দিরে ঘণ্টা আরতি।
সময়ের ফাঁকে কাটাকুটি।
বন্ধুর সাথে খুনসুটি।
রোজগারের কথা মাথায় ছিল না।
বাবার হোটেল মায়ের রান্না।
চোখের জল আনন্দের ধারা।
শান্তির বলয়ের ভিতর নিশ্চিন্ত জীবন।


তখন সুর বাঁধতে পারতাম না,
এখন পারি।
বাঁধা সুর বেসুরো হয়ে গেলে
জোড়াতালি দেয় হারানো সুর।