পরিস্থিতি পুরোই বিমুখ,
সর্বমুখী চাপে হাঁসফাস জীবন একটু নিস্তার চায়,
ইচ্ছেগুলোর মৃত্যুদন্ড ঘোষিত হয়-
সাংসারিক যুপকাষ্ঠে...
রাত্রির পাপড়িতে পাপড়িতে মধু ঢেলে দাও তুমি,
নোনতা সময়ের স্বাদ ভুলে আকন্ঠ পান করি মকরন্দ;
অন্ধের যষ্টি তুমি,
পোষ্টি ভাত মাটিকাটা শ্রমিকের...
তোমার জন্য তন্দ্রার পায়ে শিকল,
নিদ্রাকেও দ্বীপান্তরে রাখি।
দশমিকের পর পৌনঃপুনিকের পথে হিসেব!
মিশবে ভেবেও দিগন্তে মেশা হয় না আকাশের;
আকাশ-কুসুম কল্পনায় হাঁটি না আর...
তোমায় সাথে নিয়ে হেঁটে এসেছি অনেকটা পথ!
তোমায় ভেবে আরও অ-নে-ক-খানি বাকি।
ফাঁকি দিও না জীবন...
দাও দাও আরও আরও সুস্থ-সবল হাজার বছর;
সম্রাজ্ঞীর চোখে তৃষ্ণা,
অপরূপ সাজে সজ্জিতা প্রেয়সী!
কৃষ্ণা রাত্রির পাপড়িতে আমি ভ্রাম্যমাণ মধুপ,
মধ্য দুই যামে সযত্নে পরাগ মাখি।
আয়ু মেগেছি,
তোমার সাথে যাপন করি সবক'টি রাত;
মাটির হাঁড়িতে ফুটন্ত ভাতের মতো গন্ধ ছড়ায়
অভিধান...
অনন্ত যৌবনা!
বড্ড ছোঁয়াচে তুমি,
চরম আবেদনময়ী,
উন্নত কুচযুগলে আগ্নেয়গিরি!
আসক্ত পুরুষ,
সংগোপনে পায়ের পাতা থেকে চকচকে কপালে
সুদীর্ঘ চুমু আঁকি।
যেন না দেখে সে,
বৌয়ের চোখে কবিরা এমনিতেই ভালো হয় না কখনও,
চিরকালীন চরিত্রহীন!


=========