হাজারো স্মৃতির কাঁন্না উপেক্ষা করে
যেদিন তুমি চলে গিয়েছিলে স্বপ্নপূর ছেড়ে,
সেদিন আমি,তোমার আর আমার জন্ম দেওয়া অনাথ স্মৃতির কাঁন্নায় কেঁদে ছিলাম অঝোরে।


এই সমাজ,এই ধর্ম,নামাজ কোরআন,তোমার দেওয়া শপথ,এমনকি ঈশ্বরও আসেনি একটু শান্তনা দিতে।আমার ও আমার অনাথ স্মৃতির চোখের জল মুছে দিতে।আমি শুধু কেঁদেছি অঝোরে।


যেদিন তুমি চলে গিয়েছিলে স্বপ্নপূর ছেড়ে
সেদিন থেকে প্রতিটা রাত,চোখের জল,ভেজা বালিশ, কলম আর ডায়েরীতে স্মৃতির কাঁন্নার গভীরতা লিখতে লিখতে মুয়াজ্জিনের আজানে  কতো রাত শেষে ভোর হয়ে গেল।


এভাবে লিখতে লিখতে সাতাশটি কলমের কালিতে তিনটি বড় ডায়েরীতে স্মৃতির কাঁন্নারস্বর লিপিবদ্ধ করলাম।কোনো একদিন সেই ডায়েরী পড়ে তুমি স্মৃতির কাঁন্নারস্বর অনুভব করবে বলে,এবার স্মৃতির মুখে মৃদু হাসি,একটু শান্ত নীরবতা।


পিতার কাঁধে পুত্রের লাশের ওজন অনুভব করতে পারিনি,কাঁধে পুত্রের লাশ নিয়ে পিতা কতোটা অসহায়ত্ব,তা বুঝার ক্ষমতাও হয়নি।


স্মৃতির মাতা,সে তুমি যখন,স্বপ্নপূর ছেড়ে নতুন পৃথিবীতে ডানামেলে উড়ে,ভালো থাকার আকুঁতি করেছো,সেদিন সাঁতাশটি কলমের কালির বিনিময়ে স্মৃতির কাঁন্নারস্বর লিপিবদ্ধ ডায়েরী পুড়িয়ে সন্তানের লাশ কাঁধে তোলা,সন্তানের চিতায় আগুন দেওয়ার কষ্টটুকু অনুভব করেছি মাত্র।