রাত জাগা তারাদের খুনসুটি আকাশে…
তুমি নরম বিছানায় শুয়ে আদিম অভিসারে অন্তরিন......
পেলব শরীরে চেনা আঙ্গুল গুলো খেলে বেড়ায়
খুঁজে বেড়ায় চড়াই উতরাই
কানে তখন ভ্রমরের গুঞ্জন
চাপা পরে রাতজাগা সারমেয়র চিৎকার
সুখ সায়রে ভিজে হারাও সুখনিদ্রায় ।
তোমার শিশু ভরাপেটে ঘুমে অচেতন,
আমার শিশু খোঁজে মাতৃসুধা তখন;
এই শুকিয়ে যাওয়া বুকে,
তোমরা বল অপুষ্টির পরিনাম......
আমরা বয়ে চলি অনাহারের ফল ।  
জঠরে অগ্নি যার, তার বুক কি থাকে ভরে ?
উদ্বৃত্তের আনন্দে যখন তুমি ঘনিষ্ঠ আলিঙ্গনে...
বন্ধ বাগানের গালিচায় চাঁদ নামে,
তোমরা গান কর, ভরাপেটে......
খোলা জানালায় উঁকি দিয়ে চাঁদ পরিহাস করে-
কুলী লাইনের অভুক্ত শ্রমিককে।  
আমাদের স্বপ্ন রোদে জ্বলে যায়;
অযত্নে শুকোনো চায়ের বাগিচায়,  
মলিন বিছানায় বিষণ্ণতা জট পাকায়।  
অভুক্ত শিশু শুকনো স্তন মুখে গোঙায়; সারারাত ।
একমুখ খোঁচা দাড়ি ,কোটরগত চোখ, শীর্ণকায়..,  
শূন্য চোখে ও আমাকে শুধোয়,  
কারো উদ্বৃত্ত কারো শূন্য;
বলতে পারো, কেন এমন হয়?


************************