মস্তক লুটায় যে আজ মেদিনী বক্ষধামে
মেঘের গর্জন থেমেছে বহুক্ষণ
নাহি আর প্রাণ বেঁচে ইন্দ্রজয়ীর দেহে
সুমিত্রা নন্দন যে করেছে তাঁর কর্ম সমাপন।


এই ছলের হবে কবে অবসান
নাগপাশের খেলা যে ছিল এক অতিতের ভুল
বজ্রের প্রয়োগ তো ছিল না সেই মনে
ক্রোধের অগ্নিশিখায় লিপ্ত যে সবার মন।


সুলোচনার ক্রন্দনের কি হবে আজ
ফেরেনি যে ইন্দ্রজয়ী আর এক কপট খেলার নাগপাশে
যজ্ঞগৃহে যে হয়েছিল প্রাণপাত সকলের অগোচরে
ধর্মপ্রেমে দীক্ষিত কনিষ্ঠ ভাতৃদয় আর অঞ্জলিপুত্র সবে
মেঘে ঢাকা তারার তখন শেষ অন্তিমক্ষণ।


প্রাণনাশ জেনে দশানন করে যে আজ ক্রোধের ক্রন্দন
ত্রিভুবন অধিকারী যে সে ইন্দ্রজিতের ভরে
অঙ্গীকার ছিল প্রতিশোধের তাঁর
সেই কর্মফলের বলি যে আজ সবাই ,তা জেনে
চলে ইন্দ্রজয়ীর খোঁজে,পণ করবে সবার প্রাণনাশ।


পথ আটকায়ে দাঁড়ায় সুনয়না ইন্দ্রজিৎ ঘরণী
কহে মস্তক ফিরাবো আজ বীণা যুদ্ধে আমি
হবে না আর কারোর রক্তের বলি
ফিরায়ে আনে শির আপন বক্ষ ভরে ।


সুমিত্রা নন্দন করে জয়গীত ইন্দ্রজিৎএর
নয়ন বাহে জল দশানন আপন ভুল বুঝে
দেরী হয়ে গেছে তাঁর আপন কালিমাতে
মেঘের আচ্ছাদন সরে গেছে তাঁর প্রাণের ।