শীতের রাতে বেলায় নিমকাঠের সাজানো সজ্জায়
সেদিন ওই আগুন দেখেছিলাম,
বড়ই ব্যা কুল ছিল এই মন।


শুনেছিলাম ওই দূরের কোন
টিমটিম আলোর মাঝে ভেসে আসা
কোন এক বাউলের গীত,
আর শুনছিলাম চারিপাশের ক্রন্দনরত
অপেক্ষায় থাকা আন্তীয় পরিজনের গুঞ্জন ।


পাশ্ববর্তী ওই দাবানলের
ওই উদীয়মান লেলিহান অগ্নিশিখা
যেন গ্ৰাস করেছে সমস্ত জগতের আনন্দকে
করছে সবে ম্রিয়মান।


উত্তাপ দেখে দূরে সরে যায় সবাই,
কেউ বলে মনমুগ্ধকর বানী,
কেউবা নিন্দারত করে ক্ষনিকের তিরস্কার।


আসলে শরীর নস্বর,
কিন্তু মন যে অবিনশ্বর
তাই মনের প্রবাহে ভুলে যায় সবাই
কখন দেহখানির হয়েছিল চিতাভষ্ম ।
শুধু এক নিস্তব্ধ হাহাকার
উত্তরের বাতাসে বিদ্য মান,
যা কিছু ছিলো
সব কয়েক মূহুর্তে হয়েছিল অবসান।


মাঝে মাঝে লাঠির আঘাতে
পোড়া নিমের সজ্জায়
অগ্নিশিখার স্ফুলিঙ্গ উড়ে আসা !
বড়ই নিষ্ঠুর ছিলো ওদের কাজ ,
ওরা দিয়েছিল গাঁজার কলকে তে টান,
কিন্তু সে ছিল ওদের রোজের কাজ ।
সবশেষে পাশের নদীবক্ষে
বিসর্জন ওই শেষ পরিনতির ।


হয়ত ওদের হাতে পাবে
চিতাভষ্ম অন্তিম শান্তির
পথ খূঁজে নেবে মনের শীতলতা।
দেবে নতুন করে নবপ্রজন্মকে বাঁচার এক পথ।
ওং শান্তি শান্তি শান্তি।