মনের মুক্তি খুঁজে বেড়াই চারিদিকে,
বার বার ছুটে যাই আমি তাই
নির্জন কোন সমুদ্রতীরে একাকী,
অথবা হিমালয়ের পাদদেশে কোন
এক প্রত্যন্ত গ্রামে পাহাড়ী ফুলের মাঝে।
কখনও বা চলে যাই আমি কোন
এক আদিম অরণ্যের মাঝখানে।
পৌঁছে যেতে প্রবল চেষ্টা করি
প্রকৃতির কোলে, নিসর্গের খুব কাছাকাছি।
মনে হয় পেয়ে গেছি আমি
এক উন্মুক্ত অনাবিল সুখের বাসভূমি।
কখনও বা মনে হয় আমার
নান্দনিক শিল্পেই আছে প্রকৃত মনের মুক্তি,
তাই ঘুরে বেড়াই ছেনি বাটালির
যুগলবন্দী সঙ্গীতে সৃষ্ট মূর্ত মূর্তির
খোঁজে খাজুরাহর মন্দিরে মন্দিরে,
হাম্পির বিস্ময়কর ভাস্কর্যের মাঝে
কিংবা অজন্তার গুহাচিত্রের সামনে,
ভাবি এখানেই পাব মনের স্বস্তি।
কখনও বা ভাবি প্রকৃত মুক্তি বুঝি আছে
প্রেমের মাঝেই, দয়িতার সান্নিধ্যে,
হারিয়ে খুঁজি তাই বারে বারে তাকে।
এলোমেলো বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে
হয়ে যায় সমাচ্ছন্ন,তাই বুঝি না আজও,
কোথায় আছে মনের প্রকৃত মুক্তি।
তাকে পাওয়া যাবে কি শুধু বৈরাগ্যেই?