আমার হৃদয় আগলে তুমি ছিলে
অপার প্রসন্নতায় ভরে,
তুমি হেঁটে যেতে প্রান্তরের প্রান্ত ঘেঁষে,
শস্য ক্ষেতের ফসল ছাপিয়ে জেগে উঠত
তোমার ঋজু আর অনন্য শরীর।
তুমি গাইতে সকলের জন্য ঘর ছাড়ার গান,
আর আমি শুনতে পেতাম
ঘরে ফেরার জন্য তোমার আবাহন।
তোমার সুরে বিষ বিছুটির ঝোপঝাড়,
রূপান্তরিত হয়ে উঠত রজনীগন্ধার বনে,
গুচ্ছ গুচ্ছ পলাশে ভরে উঠত কাঁটাবন।
নদী ফিরে পেত তার কলস্বর,
এক স্বর্গীয় মহিমায় ভাস্বর হয়ে উঠত চারিদিক।
ঘোর অমাবস্যায় তোমার চোখের আলোতে
ছলকে ছলকে পড়ত মায়াবী জ্যোৎস্না।
তোমার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসত,
রং বেরংয়ের আলো যেমন করে
গাছের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে
কলতান নিয়ে নানান রঙের পাখির ঝাঁক।
অথচ আজ একাকীত্বের দংশনে
জীর্ণ হয় আমার শরীর আর আত্মায় চলে
বিরতিহীন দিওয়ালি, আর মৌনতার উৎসব।
শরীরের প্রতিটি রোমকূপ থেকে বিচ্ছুরিত হয় কবিতা,
আর সেই কবিতাবলি কোকিলের মতো
শুধু তোমাকেই ডাকতে থাকে।