পাঁচটি দিনের ঝগড়া শেষে
একটি রাতের দেখা,
তখন রাত্রি এগারোটা।
লোকজন নেই রাস্তাঘাটে
বরটি আমার সঙ্গে হাঁটে,
তার হাতের মুঠোয় হাতটি আমার ধরা।
ঝগড়া ছিল কত,
রাগ অভিমান যত
কারোর মনে নেই ।
ঘুমোয় পৃথিবী নিঝুম রাতে-
ঘরের মানুষ আছে ঘরে,
আমারা দুজন রাত জাগা দুই পাখি।
ঘরে ফিরতে এখনও অনেকটা পথ বাকি
চলতে চলতে দুজন রাখছি চোখে চোখ,
বলছি কত হাজার কথার কথা,
ক্লান্ত শরীর ঘুমে ঢল ঢল চোখ,
ঠীক তখন হল সুখের সাথে দেখা
সুখ এসে কয় আমায় চিনতে কি পারিস তোরা?
দশটা বছর পিছিয়ে যা বন্ধু তোরা,
হাতের মুঠোয় হাতটা ধরা ।
কেউ বলে প্রেম, কেউ বলে ভালোবাসা -
তবু সত্যি যে টুকু তার নাম ছিল না কোন
নিরেট সোনায় গড়া তায় খাদ ছিল না কোন -
মেয়েটা ছিল অঙ্কে ভীষন কাচা ,
ছেলেটা আবার চ্ঞ্চল ভারী,
মাথায় তার ক্রিকেট খেলার নেশা


নেই কি তোদের মনে?
তোদের সেই সে দিনের সুখটি আমি
সেই সেদিন গুলির তোদেরই হাঁসি
আমি তোদের ভালোবাসি।
আমি ধমক দিলাম জোরে,
অতীতের সুখ স্মৃতি, তুমি যাও এই বেলা,
আজ সে নূতন অতি পুরাতন,
ওকে লাগছে ভীষন ভালো
মিস্টি পানে ঠোঁট দুটি ওর লাল।
অতীতের আজ প্রয়োজন নেই কোন
দশ বছরের প্রেমের কাহিনী রাখো তুমি বন্দি করে
মনের কোন খানে ।


বরটি বলে হাঁটো তাড়াতাড়ি মিস হয়ে যাবে লাস্ট বাস,
যাক মিস হয়ে যাক লাস্ট বাস আমি তোমার সাথে বিন্দাস ।
সুখ কেঁদে কয় চাকরী পেয়ে আমায় ভুলেই গেছিস তোরা -


লক্ষীটি সুখ রাগ করোনা
ছুটি পেলেই সবার প্রথম তোমার বাড়ি যাব-
এ কি সুখ আজ তোমার চোখে জল ,
দশটা বছর সুখের সাথে একটাই ছিল স্বপ্ন,
চাকরী করেই করব বিয়ে,
ঘর করব সুখ তোমায় নিয়ে।
অথচ দেখ সব হলো চাকরী হল, বিয়ে হল, মেয়ে হল
শুধু হলোনা সুখ তোমার সাথে থাকা
সুখ তোমার বাড়ির রাস্তাটা না ভীষন আঁকা বাঁকা,
হোঁচট খাই বার বার,
মুখ থুবড়ে পড়েও যাই আবার উঠে দাঁড়াই,
আবার যাই পড়ে-
বরটি আমার বন্ধু হয়ে মিস্টি হাঁসে
চিরকালের মত থাকে আমার পাশে
তখন রাত্রি এগারোটা-
লোকজন নেই রাস্তাঘাটে
বরটি আমার সঙ্গে হাঁটে
তার হাতের মুঠোয় হাতটি আমার ধরা
যেন আবার প্রথম প্রেমে পড়া।