আজও হাঁটছি আমি থেমে থেমে –
সন্ধ্যা এবার নামে নামে-
মাথার উপর সঙ্গে চলে আকাশ
লাগছে গায়ে মৃদুমন্দ বাতাস ,  
হাসছে ফুলেরা ,দুলছে গাছেরা, উড়ছে পাখীরা বনে,
গ্রহ তারা সব মিটি মিটি চায় ,  আকাশের কোনে কোনে।
রাস্তার ধারে বস্তির ঘরে কিছু কিছু -  
বাস করে যারা রোজ দেখে আমায় পিছু পিছু-
আমার শাড়ী চুড়ি মালা ,এমনকি হিল তোলা জুতো  
ওরা দেখে নেয় খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে ঠিকমতো ।
ওরা ? ওরা কিছু মানুষের বিষন্ন মুখ –
রাস্তার ধারে বাঁধা ঘর গুলো যেন আবর্জনার স্তূপ ।
আমি দেখেও দেখিনা যেন।
আমি ভুলেও দাড়াইনি সেখানে একদিনও।
শুধু রোজ আনমনে হেঁটে যাই
কলেজ ছুটির পর ক্লান্ত পায়ে ।
আমি জানতে চাইনি কোনদিন ।
ওদের কিভাবে কাটে রাত কিভাবে কাটে দিন ।
ওরা কি খায়, কেমন ঘুমায় ,কিবা রোজগার
আমি খোঁজ করিনি কোনোদিন তার।
লাল পড়া চুল জট ধরা বেনী
ধুলো ময়লার ছোপ বসা ওদের দেহ খানি
ছেঁড়া জামা পরা ছোট বড়  শিশু গুলি
আমার ফেরার পথে রাস্তা জুড়ে খেলে ডাংগুলি –
কক্ষনো জিজ্ঞাসা করিনি আমি, কোলে তুলি-
আজ তোরা কি দিয়ে ভাত খেলি।
স্কুলে কি যাস তোরা ?
শিখেছিস কি খড়ি ধরা ।
এতগুলো বছর,মাস,দিন গেল চলে-
ওদের ধুলোমাখা হাত ধরিনি কখনো ভুলে।
একটা দূরত্ব রেখে ,
গায়ে গোধূলির আলো মেখে ,
আমি গান গাই সুরে ও বেসুরে –
হেঁটে যাই সেই চেনা পথ ধরে
আমি রোজ ফিরে আসি ঘরে ,
রাত জাগি একটা কবিতার তরে
কবিতার খাতা যায় ভরে ভরে
একটা কবিতা বেশ মন মত লেখা হল-
হৃদয়ের এপার ওপার তোমার ছুয়ে গেল ।  
এবার চোখ জুড়ে এল ঘুম, এল রঙিন স্ব্প্নরা –
আমার চলার পথে চিরকাল পড়ে থাকে বিবর্ণ মলিন ওরা ।
আমি এক অতি স্বাভাবিক মানুষ যেন –
বর্ষ শেষে প্রশ্ন নিজেকেই , আমি কে ? মানুষ ? কেন?    
এটা কি আমার সুস্থতার লক্ষ্মণ ?
নাকি আমি অসুস্থ ভীষণ?