কিছুদুর , শহর থেকে ,
সবুজে লুকোনো এক নদী-
আর এক নারী।
শান্ত নদীর পাড়ে –
যার আঁচল গেছে উড়ে-
মেঘের কাছাকাছি ।
এমন বেলায় ,
আকাশের মেঘ থমকে দাঁড়ায়
ইচ্ছে মনে ,
বৃষ্টি হয়ে ছোঁবে কি তার বক্ষখানি… এক্ষুনি ।
নদী তীর জুড়ে শুয়ে থাকে নারী-
শান্ত নদীজল –
ছুঁয়েছুঁয়ে যায় তার শরীরের সমস্ত বাঁক,
আলতো ঢেউয়ে এমন করে-
যেন বা নারীর গায়ে আঘাত না লাগে ।
আনমনে নারী,
সাজায় ঝরা বনফুল কিছু ,
শুকনো শালপাতায় ,
ভাসায় নদী জলে।
যেন হৃদয় উপচে পড়া প্রেম ,
বয়ে যায় কতো নদীসুখ ঢেউয়ে সে ফুলের সাথে ।
সন্ধ্যা নেমে আসে –পাখ পাখালির স্নানে ।
এইবেলা নদী জল ছেড়ে-
চলে যাবে নারী সন্ধ্যা অবসানে।
পাখিরাও  যাবে যে আকাশে উড়ে ।  
ওদের পাখানা ঝাড়া
বিন্দু বিন্দু জল মন গুলি-
আজ উচাটান বড়।
সে নারীকে ছোঁবে বোলে।
বিন্দু বিন্দু হয়ে তারা বাতাসে উড়ে আসে,  
কিছু বা মাটিতে মিশে লুটায় নারীর প্রেমে ।
নদীর অদূরে অতি নির্জনে-
কলসি ভরা নদী জল কাঁখে,
হেঁটে যায় নারী ,
অঙ্গ ধোয়া জল টুপ টুপ ঝরে পড়ে-
ভিজে যায় সবুজ মাড়ানো রেখা পথ –
ভেজা আঁচলের জল ছাপ
আলপনা এঁকে যায় পথ জুড়ে ।
আকাশ ,বাতাস , চাঁদ ,তারা ,
পথ ভরা যতো বনফুল ,যতো বনপাখি
সবাই দেখছে তাকে চুপি চুপি –
হাঁটছে তার পিছু পিছু –
যদি একটু ভেজা যায় এই অবেলায় ,
ঐ অঙ্গ ঝরা জলে।
বিস্তীর্ণ নদী চর বক্ষে জড়ায়ে নদী
পড়ে থাকে একা –
শাপলা শালুক সাজানো  নদী জল-
যেন ধূ ধূ মরুভুমি নদী বক্ষ,
সে নারীকে ছাড়া ।
বিরহী নদী মন -ভাবছে সারাক্ষন
এভাবে কত দিন গেলে
এক নদী জল ফুরাবে কখন  
সে নারীর কলসে কলসে,
অথবা  সন্ধ্যা স্নানে ।