ওহে ধার্মিক ,
   তোমার ধর্ম কোথায় ?
ধর্মের বাড়ি , ধর্মের গাড়ি ,
ধর্মের নামে সব টাকাকড়ি ,
ধর্মের নামে ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে
চেপে গেছ ধর্মের মাথায় ।
ধর্মের চেয়ে আজ ধার্মিক তুমি বড় –
ধার্মিক তুমি, তোমার ধর্মের ষাঁড়
ধর্মের নামে আমাকে গুঁতায় –
গায়ের জোর যে বেশি
কোন পথে যাই বল ।
দুর্গা যে আজ বাঁচবে বলে –
শুধুই মরে , মরেও মরে বার বার –
পায়না তারা  ধর্ম ত্রিশূল খানা ।
সেই বেলা ধার্মিক তুমি কোথা যাও ?  
ধর্ম আড়ালে ঢাকছে অসুর মুখ ।
ধার্মিক কোথা, ধর্মের বেশধারী
ছেয়েছে বাজার চৈত্র সেলে সস্তায়।
কবি, কবিতার জল না যেন পড়ে ওদের গায় ।
সব রঙ ধুয়ে মুছে হয়ে যাবে সাফ ।
অসুরের চেহারা ফুটে ওঠে ওই স্পষ্ট ।
তাই ধর্মের নামে ধার্মিক আজ রুষ্ট ।
ধার্মিক আজ ধর্মের নামে বন্দুক হাঁকে
ধর্মের নামে রক্ত মাখে মুখে  ।
শ্রীজাতের কবিতা পাতায় আজ  স্বয়ং জেগেছে শিব –
মুক্ত  ত্রিশূল হাতে, করে তাণ্ডব নৃত্য  –।
নৃত্য শেষে দুর্গার তরে  রেখে যায় তার মুক্ত  ত্রিশূল  –
দুর্গাও আজ পেয়ে যায় যদি তোমার কবিতাখানা  -  
তবে আজ অসুর বধ।
আজ ঘটবে প্রলয়-
ধর্মের মুখোশ আড়ালে
তাই অসুরেরা ভীষণ পেয়েছে  ভয় ।
প্রস্তুত থেকো কবি ,
লিখতে হবে শিব ও দুর্গার
এক নতুন অনন্য প্রেম কাব্য ।