ভোরের আলো ফোটার আগে,রাত্রি কাটে
অনেকেরই তন্দ্রা কাটে,সকাল হয়।
তার থেকেও একটু পরে,সুর্য ওঠে,আলো ফোটে,
অনেক মানুষ বিছনা ছাড়ে,ব্যস্ত হয়।
কেউ প্রথম ট্রেনের বাঁশির আগে,উনান জ্বালে,
ধোঁয়া ছাড়া চায়ের ভাড়টা সবাই পায়।
তারপরে,ধীরে ধীরে,ব্যস্ত শহর ছুটতে থাকে,
অফিস নামক ঠান্ডা ঘরে,অনেকেই আসন পায়।
কেউ রিক্সায় প্যাডেল মারে,কেউ কেউ পকেট মারে,
সবাই ছুটছে,রাত্রে যাতে, দু-মুঠো খাবার পায়।
ধীরে ধীরে দপুর নামে,গরম গরম শরীর ঘামে,
ঠান্ডা ঘরেও কপাল ঘামে,হাঁটলে বড় তেষ্টা পায়।
তার মাঝেই গল্প আলাপ,চায়ের কাপে চাকুম-চুকুম,
বিড়ির ধোয়া,গল্প-গুজোব,মাথার চাপটা হালকা হয়।
ঢিলে তালে,বিকেল নামে,সন্ধ্যা আসে,একটু পরে,
বাসের সিটের কাড়াকাড়ি,বাড়ি ফিরে শ্রান্ত হয়।
সাঁঝ পেরিয়ে এগিয়ে গেলে,কানারাতের বিছনা টানে,
চোখ দুটোকে বুজিয়ে দিলেই,হঠাত্ আবার সকাল হয়।
এর মাঝেও স্বপ্ন বাঁচে,পকেট দেখে ইচ্ছে বাঁচে,
কোনো স্বপন আঙন পেল,কোনোটার বা মৃত্যু হয়।