ওরা যদি জানতো-
স্বাধীনতা শব্দটা কতটা আপেক্ষিক!
ওরাও “যতটা গর্জে, ততোটা বর্ষে না”র মত,
“ধরি মাছ না ছুঁই পানি”র মত করে করে
আজকের বনাঞ্চল, পানি, বন্দর রক্ষার আন্দোলনের মত
প্রজন্মান্তরের হাতে মুক্তির ধ্বজা ধরিয়ে দিয়ে
মোনায়েম খান আর নিয়াজী খানের সাথে ইন্টারকন বিহারে চলে যেত।


চুড়ান্ত ফয়সালার পরও যারা সেই সব ঐতিহ্য ধারণ করে
শহীদ আর বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের উপর ছড়ি ঘুরায়!
তারাই কি প্রকৃত অর্থে বীর বাহাদুর নয়?
আর যাদের দেহ নিঃসৃত রুধির নোনা জলের বানে ভেসে
সবুজ চত্বর সিক্ত করে সাগরে অদৃশ্য হলো;
তাদের বেওয়ারিশ উত্তরাধিকার সত্য প্রকাশের দায়ে হয়ে যায় বাচাল!


ফাগুনের উষ্ণ উষ্ণ প্রেমালাপী বাসন্তীকা’র আবরণের গভীরে
দেশপ্রেমের সংজ্ঞা খুঁজে খুঁজে হলদে পাখি হয়ে যায়!
আমিও যদি ওদের সাথে চলে যেতাম, হয়তো নতুন বিশেষণে
বেদনবিদ্ধ হয়ে অর্বাচীন হওয়ার আক্ষেপে তামাদী হতাম না!


সংজ্ঞা বদলের খেলায় পাত্র-মিত্রও বদলে যায়!
বিপ্লবী চরিত্র যখন চৌদ্দ শিকের আড়ালে কাবাব হয়,
তখন বসন্তের কোকিলের মায়াবী সুর আনন্দ ছড়ায়!
গিরগিটের মত রঙ বদলের নেশায় মানুষ উভচর হয়ে যায়!


অসহিষ্ণুতা প্রজা সাধারণের জন্য মারাত্বক ব্যাধি হলেও,
কারও কারও জন্য মোহনীয় অলঙ্কারই বটে!
তাইতো তরঙ্গে শুনি নির্মমতার স্রোত আর ছন্দ পতনের আয়েশী বিভাস!
একাত্তরের হাতিয়ারগুলো যদি কলম হয়ে ফিরে আসতো,
নতুন করে শুরু হতো কাউন্ট ডাউনের বর্ণিল খেলা!