পালা বদলের জারিগান শুনি পিচঢালা রাজপথে;
নিয়তির দায় ওঁৎ পেতে থাকে সময়ের বাঁকে বাঁকে।


বিদগ্ধ শুশীলও ওম চায় জ্বলন্ত অগ্নিগিরির বেদীমূলে!
আবডালে আলাপন করে পূর্ণিমা শশী পুরাবৃত্তের সনে।
নির্ঘুম নিশি কাঁদে রক্ত জবা আর কৃষ্ণচুড়ার তলে!
জনারণ্য কেঁপে উঠে থেকে থেকে ভয়াল থাবার ভয়ে!


বিষাক্ত বর্জ্যস্রোতে ভেসে যায় সৌম্যের বিকৃত লাশ!
বিস্ময়ও থমকে দাঁড়ায় অস্পন্দে, নির্লিপ্ত রাজপথ দেখে!
এসিড বৃষ্টির আতঙ্কে নির্জন মাঠ হাহাকার করে উঠে!
গবেষনাগারে কুশিলব খুঁজে কবরের শান্তির নিপুন ছক!
কোথাও কি আছে আর সমুদ্রের গর্জন, জোয়ারের ডাক!


এখন আর কোথাও নেই অনন্য উচ্চতার বংশীবাদক!
যার বাঁশির সুরে জমাটবদ্ধ হবে বর্ণিল স্বপ্নের মিছিল;
ঊষার আলোয় জাগবে সোনালী প্রভাত রুদ্ধ নীড়ে।