ভাল লাগে সকালের ফুরফুরে মেজাজ;
ভাল লাগে শিশির ভেজা ক্ষেতের আনাজ,
ভাল লাগে ব্যাটে-বলে ক্রিকেটের দারুন লড়াই,
ভাল লাগে বঙ্গ জননীর সন্তান বলে করতে বড়াই!
ভাল লাগে গোল্লাছুট, নাগরদোলা, কত আয়োজন;
ভাল লাগে ভরা গাঙে নায়ে চড়ে বিলাস ভ্রমণ,
ভাল লাগে সবুজ ঢেউ খেলা চায়ের বাগান,
ভাল লাগে পুতুল নাচ, জারি-সাড়ি গান।


ভাল লাগে হাটে-মাঠের মেলা প্রাঙ্গন;
ভাল লাগে সাগর সৈকতে ঢেউয়ের প্লাবন,
ভাল লাগে প্রেমীদের খুনসুটি, মধুর আলাপন,
ভাল লাগে দেশপ্রেমিক তরুণ-যুবার উচ্ছল জীবন।
ভাল লাগে শীতের সকালে খেজুরের রসে ভরা হাঁড়ি;
ভাল লাগে নেকাব ছাড়া হিজাবে সজ্জিত বঙ্গনারী,
ভাল লাগে আপন জনের অপরূপা সুন্দর মুখ,
কিষানীর ভালবাসায় ভরে কিষানের বুক।


ভাল লাগে জননীর আঁচলের ছায়া;
প্রবাসীর হৃদয়ে জাগে জন্মভূমির মায়া!
ভাল লাগে মমতা জড়ানো মায়ের আদর,
ভাল লাগে শীতের সকালের কুয়াশার চাদর।
ভাল লাগে স্বদেশের নদী-নালার সর্পিল বাঁক,
ভাল লাগে সাগর সৈকতে গাঙচিলের ডাক;
ভাল লাগে নির্জনে প্রেয়সীর মধুর কথন,
ভাল লাগে দিঘির জলে হংস মিথুন।


ভাল লাগে হেমন্তের পূর্ণিমা রাত;
ভাল লাগে ঈদগাহে শিশু মোলাকাত।
মাধবী জোনাক রাতে হয়ে যাই অবাক!
ভাল লাগে বৈকালে ঘরে ফেরা পাখির ঝাঁক
নীলাকাশে রাশি রাশি ভেসে যাওয়া মেঘ;
ভাল লাগে মনের মাঝে প্রেমের আবেগ।
ভাল লাগে লোভনীয় হরিণীর পাল,
ভাল লাগে স্বপ্নময় বসন্ত কাল।


পাহাড়ের ঝুলন্ত মোহনীয় সেতু,
ভাল লাগে প্রেমীদের প্রেমের ঋতু;
ভাল লাগে রজনীর লাল নীল বাতি,
ভাল লাগে গ্রামীন শৈশবের চড়ুইভাতি।
ভাল লাগে অপরূপা রমনীর দেহ সৌষ্ঠব;
ভাল লাগে নন্দিতা গোলাপের সৌরভ,
ভাল লাগে শ্রাবণের রিম-ঝিম বৃষ্টি,
ভাল লাগে বিধাতার নিসর্গ সৃষ্টি!