ফুলের সাথে কবির আত্মার সম্পর্ক অত্যন্ত নিগুঢ়। কারণ ফুল কবিতার একটা অপরিহার্য অনুসঙ্গ। পৃথিবীর অসংখ্য কবি নানান ভাষায় ফুল নিয়ে কাব্যচর্চ্চা করেছেন। ফুল স্রষ্টার ও মৌলিক সৃস্টি। যে ফুল ছিল সৌন্দর্য আর সুগন্ধের অপূর্ব সংমিশ্রণ। এমন ঘটনা আমরা অনেকেই প্রত্যক্ষ করেছি যে, কেউ কাউকে একটি ফুল উপহার দিলে প্রথমেই সে ফুল টি গ্রহণ করেই তার সুগন্ধ আত্মস্থ করার চেষ্টা করে। কারণ ফুলের সৌন্দর্য এবং সুগন্ধ  মিলিত ভাবেই আত্মার খোরাক। সুষম খাদ্যের অভাবে দেহ যেমন  বিকল হয়ে যায় তেমনি পৃথিবীর মৌলিক সৃষ্টি ও আত্মার সুষম খোরাক, যার অভাবে আত্মাও হয়ে যায় খুতযুক্ত। সুগন্ধ বিবর্জিত সৌন্দর্য আত্মাকে পরিপূর্ণ প্রশান্তি থেকে বঞ্চিত করে। কথায় আছে, " যে ফুল ভালবাসে না সে খুন করতে ও দ্বিধা করে না।" আজকের পৃথিবী স্রষ্টার মৌলিক সৃষ্টি গুলোকে বিকৃত করে প্রকৃতির ভারসাম্য কে ধ্বংসের দিকে যেমন ঠেলে দিচ্ছে, তেমনি মানুষের আত্মার প্রশান্তি নষ্ট করে তাকে করে তুলছে কঠোর, কঠিন, রুক্ষ ! তাই মায়া মমতা হীন আধুনিক একটা বিশেষ প্রজন্ম নির্বিবাদে করতে পারছে খুন সহ নানা রকম অনৈতিক কর্মকান্ড। ফুল প্রেমিক প্রেমিকাদের ও ভালবাসার প্রতীক। ফুলের সৌন্দর্যের সারা গায়ে মাখামাখি করে যে সুগন্ধ বসত করতো তাকে সৌন্দর্য থেকে বিচ্ছিন্ন করে স্রষ্টার অহংকার এবং আনন্দ কে ও করা হয়েছে খাটো আর অপমান। তাই ফুলের বিশেষ করে প্রথমতঃ গোলাপের সুগন্ধ ফিরিয়ে দেবার দাবীতে কবি সমাজ এবং প্রেমিক-প্রেমিকাদের সর্বাগ্রে সোচ্চার হওয়া উচিৎ।