নীরবে নির্জনে, নিঝুম নিশিরাতে
রঙ্গিন পৃথিবীর বুকে নির্ঘুম সেতারা;
জোনাকীরা জ্বলে জ্বলে নিভে যায় প্রভাতে
ঝরে পড়ে শেফালীরা চলে যায় মিতারা!


সময়ের সাথে জীবনের হয় না সমঝোতা;
থেমে যায় বাসী ফুলে ভ্রমরের গুঞ্জরন!
দগ্ধ হৃদয় যখন খোঁজে মায়ার প্রলেপ,
অলক্ষ্যে নিয়তি হাসে নিরন্তর বিলক্ষণ!


বিপন্ন জীবনী শক্তি, অশান্ত শান্তিনীড়!
ক্ষণ প্রভা রংধনুর বর্ণালী ছন্দও বিবর্ণ!
বিষন্ন মনের কাছে মূল্যহীন কাব্য যেথা,
কল্পিত স্বর্গ সোপান সেথা একেবারে জীর্ণ!


আমি দ্রোহের আবাদ করে করে আজ ক্লান্ত;
ক্ষোভের আবেগটুকু কবেই দিয়েছি বিসর্জন,
এখন বিপন্ন প্রাণীর মত অস্তিত্বের সঙ্কটে
খামচে ধরে মৃত্তিকা, গুনি বিদায়ের ক্ষণ!


ক্ষমা কর বসুন্ধরা; তোমার নির্যাসের ঘ্রাণ
আর স্বাদটুকু রুদ্ধ কক্ষেই বন্দী দেখে গেলাম!
আমি ব্যর্থতার দায় নিয়ে চলে যাব সেই সেথা,
যেথা স্বপ্নের বিলাস নেই, আছে সত্যের দাম।