পলাতক স্বপ্নগুলো কখন যে চলে গেছে দিগন্ত পেরিয়ে বর্গীর ঘরে!
অথচ কথা ছিল, বিছিয়ে দিবে শীতল পাটিতে শান্তিময় শুভ্র প্রেম!
মুক্তির গানে দুলবে কলমিলতা, দোয়েলের শিসে হাসবে মধুমিতা!
সবুজ অরণ্যে বইবে শান্ত সমীরণ, আসবে ঘরে ঘরে সুশীলের পিতা।


আমি মানুষের মত করে নিশীথে হেঁটে যাব পালা গানের উৎসবে,
আমি বকুলের মালা গেঁথে পূর্ণিমা রজনীতে পড়াবো প্রিয়ার গলে;
অথচ প্রেমালয়ে উঠেছে অশুভ আগুনের ঝড়, মেদিনীতে ধিক্কারে!
আবারও ফাগুনের ডালে লেগেছে আগুন, নেভাবে কে জল ঢেলে!


আবারও মিছিলে দেখি রক্তের হোলী খেলা, জনপদে কুঁড়ি দলে!
সম্ভ্রমহারা নারীরা আজও কাঁদে অন্ধগলির বন্ধ কুঠুরীর অন্তঃপুরে!
অথচ অঙ্গীকারের খাতা খুলে দেখো, লিখা আছে পাতার আঙিনা ভরে:
অমানিশায় চন্দ্র দেবো, হৃদয়ে স্বপ্ন দেবো, সুখ দেবো ঘরে ঘরে!


বাতায়ন খুলে দেখো, নিসর্গ খেলে যাবে মায়াবী জোছনার সাথে,
দখিনা সমীর এসে কানে কানে বলবে কথা প্রত্যুষে দল বেঁধে;
প্রণয় বাসনা সেথা বৈকালী রঙ মেখে ছড়াবে মধুর আবাহন,
আমি প্রেমের বারতা নিয়ে তোমার হৃদয়ে এঁকে দেবো শিহরন!


অরও কত কথা বলেছিলে প্রিয়ে, শীর্ণ সোপানে বসে নিশিরাতে,
বলেছিলে, তুমি হবে রাজদূত; আমারই আলয়ে রবে আনন্দে মেতে!
আজ আমি ভিখিরি, অরণ্যে করি বাস; এখনও যুদ্ধ করি মুক্তির তরে!
তোমার কপোল জুড়ে দ্যূতিময় রাজটিকা, হাসিতে অবিরত মুক্তো ঝরে!


অতীত হয়েছে বাসী, ভুলে গেছ সুখনাশী, অচেনা হয়ে গেছ হে প্রেয়সী,
তোমার অলিন্দখানি, ছড়ায় মধুর বাণী, সুখ ছুঁয়ে যায় রাশি রাশি!
তোমার স্বর্গদ্বারে দু’হাত পেতেছি বারে বারে স্বপ্নের স্বাদ পাবো বলে,
অহমের সাথে সরিয়ে নিয়েছো চাঁদমুখখানি, অথচ আমি আজ অচেনার দলে!