ঈদ আসে ঈদ যায় ক্ষণিকের প্রভা হয়ে,
এ এক অপূর্ব অনন্য প্রহর;
যেন নিসর্গ মেতে উঠে ফাগুনে!
কোথায় এ শান্তির লুকায়িত নীড়
কোথা থেকে নেমে আসে ধরাতে?
আরণ্যকও হতে চায় সুশীলের মত করে
এ ক্ষণের মহিমায় অমায়িক!


এ যেন অদৃশ্য বাঁশরির সুরের মাতম;
কে সেই মহামতি বংশীবাদক?
যার নিঃশব্দ সুরের মোহনীয় যাদু
সম্মোহিত ফুলের মালা গেঁথে চলে জগৎময়!
পল্লবে দোলা দেয় জোছনার ঢেউ হয়ে,
চুপিসারে-অগোচরে অন্তরে জাগিয়ে তোলে
মিলনের অনিন্দ্য স্পৃহা শাশ্বত রাতে!
প্রভাতে রংধনু হয়ে নেমে আসে বিবর্ণ বসুধায়,
অসহায় মানুষও মাতে আনন্দ সরণীতে!


নিরন্ন মানুষের মুখে সুস্বাদু খাবার জোটে,
বিনিদ্র পথকলির ফাটা ঠোঁটে হাসি ফোটে!
ওরা বেলুনের মত করে ছুটে চলে সুখী হতে
ফানুসের মত করে প্রভূর বাসর ছুঁতে,
নতুন পোশাকে যেন অনাবিল আনন্দগুলো
মওলার আরশ থেকে নেমে আসে ধরণীতে!


এ এমনই এক নন্দিত ক্ষণ;
অনামিকাও ভুলে যায় হৃদয়ে জমে থাকা
বেনামী ঠিকানার অশান্তি, যন্ত্রণা, দুঃখবোধ!
এ এক অন্য রকম ভাল লাগা শ্রেষ্ঠ প্রহর,
স্রষ্টার কুদরতে মুখরিত হয় জনপদ, নগর, শহর!