বার বছর দীর্ঘায়িত সূর্যাস্তের আকাশ দেখেছে সে
শহরে ছড়িয়ে থাকা প্রান্তর —
ফিডাররোড,দমদম, শিয়ালদা লেনিনসরনী ক্লান্ত পায়ে হেঁটে
খুঁজে ফেরে ভালোবাসার হাত।
মধ্যবয়সী এই নারী...
সে আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় কোনদিকে
গার্হস্থ্যজীবন ফিরে পাবে বলে নীরবে তুলে দেয় ভালবাসার হাত
আমার চোখে চোখ রেখে ভুলে যেতে চায়
ফেলে আসা জীবনের পরিত্যক্ত ইতিহাস।
একান্ত নীরবের দিকে হেঁটে খুঁজে জীবনের আলতো পরিত্রাণ।
সেই নারী যে বুঝে আমার কবিতা, আমাকে কবিতা লেখায় উদ্বুদ্ধ করে।
লোকাল ট্রেনে বসে আমার কবিতা পড়ে—
সে জানে আমার সরলতা, আমার সব দুর্বলতা
কত কাছে থেকে সে দেখেছে আমায়, একান্ত আটপৌরে শ্যামলা মেয়ে।
সে বুঝে আমি তাকে ভালোবাসি তাই সে দিয়েছে সুভগা নারীর মন।
আর আমার কবিতায় তার অস্তমিত যৌবনের সবটুকু রঙ।
সে তার লুকানো পৃথিবী থেকে বেরিয়ে এসে আমাকে বলেছিল
কৃষ্ণঠাকুর লোভ হয় ভালবাসতে, কোমর জড়িয়ে হাঁটতে ভালো লাগে রাস্তায়।
আমি শুধু দেখি অপর্ণার মুখ, আর লিখে চলি রাতের কবিতা।