বৃষ্টি ঝরেছিল মাথার উপর ঘণ্টার পর ঘণ্টা
জুতো খুলে, ছাতা ফেলে শেষ মেষ তুমি নেমেই পড় বৃষ্টিতে
কবে যেন বর্ষা আমাদের মনে রং ধরিয়েছিল
তখন তোমার দুই ভ্রুতে ছিল চেনা বিদ্যুৎ।
আর ঠোঁটে ছিল রবি ঠাকুরের গান।
তোমার বাহুডোরে বাঁধা পড়া আমি।
তুমুল বৃষ্টির দিনে তোমার চোখ দেখেছিল সব
কান শুনেছিল বৃষ্টি পতনের শব্দ।
আমি বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে রং তুলি হাতে নিয়ে
আঁকি তোমার ছবি। তোমার হাতের ছোঁয়ায়
আবার নতুন করে সেজে উঠি আমি।
পৃথিবীতে যক্ষের মত বেঁচে থাকব বলে
বৃষ্টির দুপুরে দেখি তোমার ভেজা পায়ের গোড়ালি।
বৃষ্টির দিনে যখন বই খাতা বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরে বাড়ি ফিরতে –
তোমার লম্বা বিনুনির মাঝে গুঁজে দিতাম বকুল ফুল।
সে তো কত যুগ আগে। আজ এতদিন পর ভুলে গেছ কি?
বর্ষা ভুলে নি, আজ এত দিনের ফুল ফুটানোর পরিশ্রম
সার্থক হয়েছিলো কিনা জানিনা?
জানে শ্রাবণ তোমার পাগল প্রেমিক মাঝবয়সি কবি।
যাকে তুমি শিখিয়েছিলে মেঘেদের ভাষা
সেই বর্ষা ছিল অন্যরকম...