তোমাকে ছুঁয়েছি বলে এ জীবনে কবিতাকেও ছোঁয়া হল
না হলে আমি তো নিমগ্ন ছিলাম বৃন্তের ঠিক নীচে
জেগে থাকা কচি সবুজ পাতা।
যেন তোমার অতন্ত্র প্রহরী।
একুশ শতকের এই সভ্যতার কলকাতা শহরের
মাথায় ঝরুক হিম, ফুল শূন্য বিকালের শীতে।
বিষাদে অশ্রুতে নারীযন্ত্রনা কিছুটা করেছি বহন।
নারীযন্ত্রনার বিপুল একাকীত্ব নিয়ে অন্যমনস্ক হয়েছি বারবার।
তোমাকে ছুঁয়েছি বলে
হয়েছি আমি কালবৈশাখী ঝড়, তারপর বিদ্যুৎ, তারপর বৃষ্টি।
এখনও মাটির হেমে বিশ্বাস রাখি
আমি তো বিশ্বাস করি তূণীর থেকে বেরিয়ে যাওয়া তীর তুমি,
যা হৃদয়কে দগ্ধ করে। রোদে কেঁপে, বৃষ্টি ঝড়ে দিন কাটে।
রাঢ়ের হাওয়ায় বেড়ে ওঠা গ্রাম
লাল মাটির দেশ, তাল গাছের সারি। ছোট বড় টিলার স্তুপ,
মৃদু হেসে সামনে পা বাড়াও। হাঁটতে হাঁটতে পিছন ফিরে দেখো-
তোমার ডালভাঙা কৃষ্ণচূড়া গাছে পাখি বসে।
আমাকে ছুঁয়ে দেখ, তাহলে যদি কবিতাকে ছুঁতে পারো।