যার জীবনে সুখ সয় নি তাকে
নতুন করে ঘর বাধার স্বপ্ন দেখিও না।
রক্তমুখী চাঁদের মত তার ও সব সহ্য হবে না।
যার পায়ের তলায় নেই কোন ভালোবাসার
মাটি। সে নেতিয়ে পড়া লতার মত
কোন কিছুকে আঁকড়ে ধরে, ক্রমশ
বাঁচতে চায় মানুষের খোঁজে।
নির্লিপ্তের মোহে নিজেকে মুড়ে নিয়ে
জীবনকে করে তাচ্ছিল্য।
ঝাপসা চোখে নেমে আসে বেদনা ভরা মুখ।
অশ্রু রঙে টলোমলো আঁকিবুঁকি
টানা সুখী জলকনা—
অজস্র লিরিক হয়ে ঝরে পরে
কবিতার আলোয়।
অভিমান নেমে আসে শরীরের অন্ধকারে।
বেদনার প্রলেপ ফুটে ওঠে স্তনের গায়ে—
শরীরের বর্ষ বলয় জুড়ে খেলা করে ঢেউ।
রক্তের ভেতর জেগে ওঠে ঝড়,
স্বাভাবিক উষ্ণতায় কি ছিল রোমাঞ্চ ?
নতুন উদ্যমে গড়তে চেয়ে ছিলে
মেদহীন অনুভূতির আকাশ।
শব্দের খোলস পাল্টে আনতে চেয়ে ছিলে
সবুজ সকাল, ঝকঝকে দিন,আরক্ত বিকেল....
তবুও আমি ঠোঁট পেতে রয়েছি
ওই ঠোঁটে নেমে আসে ভাঙ্গা আলোর
মত পুড়ে যাওয়া কপাল।
তোমার এই পরিত্যক্ত জীবনে সবকিছু
পাওয়া যাবে না ...
এই ভিজে আকাশ,ঋতুমতী মাটি,কুমারী বীজতলা
জীবন পেরিয়ে একদিন তোমার সঙ্গে দেখা হবে
নিমতলা ঘাটে
শোকাহত মালা পরে আমরা শুয়ে থাকব
পাশাপাশি বিছানায়।