শ্রাবণ রাত্রির ঘনঘোর বার বার ফিরে আসে
বিষাদ বৃক্ষের নীচে ম্রিয়মান আমি, নির্বাক, নিথর।
অজয়ের জলে ভিজে যাওয়া আমার স্মৃতি।
আজও বুকে বাজে তোমার হৃদয়ের স্পন্দন।
তাকিয়ে দেখো অজয়ের বাঁকে দিগন্তরেখার দিকে
ধাবমান আমার প্রানের আকুতি। শরতের রোদ গায়ে মেখে
ফুটে আছে কাশফুলের পেলবতা।
কিছু কিছু মন খারাপের স্মৃতি মনে পড়ে আজ
অষ্টাদশী সায়নীর কথা
স্কুল থেকে ফেরার পথে সামনে তোমার বাবা পিছনে আমি
অতি সন্তর্পণে তোমার চুমা খাওয়া।
বৃষ্টি হয়ে ঝরে গেছে আজ।
তোমার লাল ওড়নার মত কৃষ্ণচূড়া ফুল ঢেকে দিয়েছে
আমার বেদনার কাঁটাগুলো।
তোমার চোখের পাতার গোপন ইশারা,ঠোঁটের কাঁপন, কণ্ঠস্বর
এই অবিনাশী দৃশ্যপট আমাকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রেখেছে সর্বক্ষণ।
সায়নী.. আকাঙ্ক্ষার ঘর উড়ে গেলে শুধু পড়ে থাকে
নীরব গল্পের হাতছানি।