ন’টা চল্লিশের নৈহাটি লোকাল তোমার ষ্টেশনে থামে।
আমি অতি সন্তর্পণে পা রাখি –
আমি টের পাই অপসৃয়মান ছায়ার ভিতর
তোমার স্পর্শের বাতাসের ভাসমান জলকণা।
তোমার চৌকাঠে হাত রেখে কলিং বেল বাজাই।
দরজার ওপারে তোমার কণ্ঠস্বর
আমি মুগ্ধ হয়ে যায়।
তোমার স্বরের নম্রতা শব্দের পরিধি ছুঁয়ে আকাশের রঙ বদলায়।
কিছুক্ষণ আগেও ছিল ঘরের ভেতর
দমিত বেদনার সাজিয়ে-গুছিয়ে গড়ে তোলা বিনম্র কোলাজ।
যে গূঢ় অভিমান এতক্ষণ ছুঁয়ে ছিল মনে
বিস্রস্ত স্তবের ভিতর তা তোমার সন্তর্পন গোপন বিভাস।
আমার ভূমিকায় বৃষ্টির ডানায় বিচূর্ণ মেঘেরা বয়ে আনে
তোমার স্পর্শের রাগ অনুরাগ।
আমি শুন্যে কান পেতে শুনি অপসৃয়মান ছায়ার ভিতর
তোমার মনে ওঠে নিঃশব্দ ঝড়।
ততক্ষণে আমি জেনে গেছি তোমার প্রকৃত রমণ।
ছুটে আসে আমার দিকে তোমার কাঙ্খিত প্রস্তাব—
শুরু হয় ছোঁয়াছুঁয়ি খেলা।
ঘরের নিস্তব্ধতা ভাঙে...